রায় বাড়ির প্রতিমার একদিকে রাধা ও অন্যদিকে কৃষ্ণ রয়েছে দুর্গার সঙ্গে, তাদের এই দুর্গা মূর্তি বংশ-পরম্পরায়। দিন কয়েক পার হলেই দুর্গাপুজো একদিকে যেমন মূর্তি তৈরি হচ্ছে ঠাকুর দালানে, অন্যদিকে ঠাকুর দালানকে সাজিয়ে তোলা হচ্ছে নতুন রঙে। ঠাকুর দালানের সামনে খোলা মাঠ পুজোর সময় এই মাঠ বাশের প্যান্ডেল তৈরি হয়, পরিবার সদস্য ও গ্রামের মানুষ মিলে মিশে মায়ের আরাধনা আর হই হই রব পুজোর কটা দিন।
advertisement
আরও পড়ুন: বোলপুরে অস্থায়ী ক্যাম্পে কী করছে সিবিআই? তুমুল চাঞ্চল্য, বড় রহস্য ফাঁসের অপেক্ষা
রায় বাড়ির পুজোর বিশেষ কয়েকটি বৈশিষ্ট্য রয়েছে। অন্যান্য প্রতিমার মূর্তির থেকে কিছুটা আলাদা রায় বাড়ির প্রতিমা, তার পাশাপাশি বেশ কিছু নিয়ম রয়েছে। যেমন ১৫ দিন আগে রায় বাড়িতে শুরু হয় দেবী দুর্গার বোধন, ওই ১৫ দিন সকালে চণ্ডীপাঠ। সপ্তমীর দিন থেকে নবমী পর্যন্ত দেবী দুর্গাকে বলি উৎসর্গ করা হয়। নবমীর দিন নিয়ম মেনে সিংহবাহিনী মাকে পুজো নিবেদন করে রায় বাড়ির দেবী দুর্গার নবমীর পুজো শুরু হয়। পাশাপাশি বিজয় দশমীর দিন রায় বাড়িতে তৈরি তিলের নাড়ু দুর্গাকে নিবেদন করা হয়। রীতি মেনে ঠাকুর দালানের সামনে পুতুল নাচও হয়।
আরও পড়ুন: অস্ত্র নাকি টিউবওয়েলের হাতল! আউশগ্রামের নৃশংস হত্যাকাণ্ড দেখে স্তম্ভিত বাংলা
বংশ পরম্পরায় ঢাকি, নাপিত, কুমোড় এই পুজোর সঙ্গে যুক্ত রয়েছে রায় বাড়িতে। কর্মসূত্রে পরিবারের সদস্যরা অন্যত্র থাকলেও পারিবারিক এই পুজোয় এসে সবাই মিলিত হয় প্রতিবছর। রায় বাড়ির পূজো প্রসঙ্গে পরিবারের সদস্য অসিত কুমার রায় জানান, পৌরাণিক মতে ১৫ দিন আগে বোধন চণ্ডীপাঠ, বলিদান ও অন্যান্য পুরানো রীতি মেনেই রায় বাড়ির দুর্গা পুজো।
রাকেশ মাইতি