ছোট্ট তন্দ্রিতার প্রতিভার জেরে বাবা-মা আত্মীয় পরিজন পাড়া-প্রতিবেশী সকলেই বেশ খুশি। যদিও বর্তমান সময়ে ছেলে-মেয়েদের লেখাপড়ার চাপের পাশাপাশি নাচ গান আবৃত্তি অঙ্কন বা ব্যায়াম নিয়ে চর্চা হলেও সম্ভব হয়না অনেকেরই। বলা যেতে পারে এতে সেরার শিরোপা অর্জন করা খুবই কঠিন। সেই দিক থেকে লেখাপড়ার সঙ্গে ধারাবাহিকভাবে সাংস্কৃতিক চর্চা রাখাও বেশ কঠিন। তবে এ বিষয়ে তন্দ্রিতা জানিয়েছে, নাচ গান আবৃত্তি সে আগামী দিনে চালিয়ে যেতে চায়। একই সঙ্গে এই চর্চাকে কেন্দ্র করে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে চায়।
advertisement
আরও পড়ুন : আপনার বাচ্চা অবাধ্য ও জেদি? কোনও কথা শোনে না? ভাল বাবা মা হওয়ার সহজ টিপস জানুন
কীভাবে মেয়ের এই সফলতা এ বিষয়ে তন্দ্রিতার মা অর্পিতা মণ্ডল জানান, ‘‘ আবৃতি চর্চা মেয়ে নিজেই শুরু করেছিল ওর দাদাকে দেখে। তখন দেড় বছরের সে। দাদার আবৃত্তি শুনে শুনেই শিখে ফেলেছে বেশ কয়েকটি। তার পর বাড়িতে ওকে নিয়ে আবৃতিচর্চা এগোতে থাকে। ভাল আবৃত্তি বলার সুবাদে কয়েক বছরের মধ্যে বেশ কিছু পুরষ্কারও পায়। নিজের স্কুলের কাজ সামলে প্রতিদিন সময় করে আবৃত্তি চর্চা চলে।
তন্দ্রিতার মা আরও জানান, ‘‘একইসঙ্গে যখন সুযোগ বুঝি খেলার ছলে আবৃত্তি নিয়ে চর্চা করি। ছোট বয়সে একটু বেশি নজর রাখতে হত তবে এখন নিজে নিজেই অনেকটা বেশি সজাগ। একই সঙ্গে গান ও অঙ্কনের প্রতিও বেশ মনোযোগী। প্রতিদিন রুটিন অনুযায়ী স্কুলের পড়ার পর আবৃত্তি নাচ এবং অঙ্কন প্র্যাক্টিস চলে।’’





