হাওড়া জেলার সাঁকরাইল ব্লকের এই ঘটনায় কোনও রকম প্রতিক্রিয়া দিয়ে দায় সেরেছেন জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক। তীব্র গরমে বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হওয়ার ঘটনা লেগে রয়েছে। জনবহুল এলাকায় ঘন্টার পর ঘন্টা ইলেকট্রিক বিচ্ছিন্ন। এমন ঘটনা সাধারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। তবে স্বাস্থ্যকেন্দ্রের মতো জরুরি পরিষেবাতেও ঘটছে বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হওয়ার মতো ঘটনা। তাতেই শোরগোল পরেছে সাঁকরাইল ব্লকে। চিকিৎসক বা স্বাস্থ্য উপকরণ থাকলেও, বিদ্যুৎ না থাকার কারণে সমস্যার মুখে পড়ছেন রোগীরা। এমনটাই অভিযোগ রোগীর আত্মীয়র। সাঁকরাইল ব্লকের একটি স্বাস্থ্যকেন্দ্রের উপরে নির্ভরশীল হাজার হাজার মানুষ। আর এই ইলেকট্রিক বিচ্ছিন্ন পরিস্থিতিতে গরমের যন্ত্রনা থেকে মুক্তি নেই স্বাস্থ্যকেন্দ্রে আসা রোগীদের। প্রতিদিন অন্তবিভাগ ও বহির বিভাগে। বহু প্রসূতি সহ অন্যান্য রোগীরা এখানে চিকিৎসার জন্য আসেন। যদিও ইলেকট্রিক ব্যবস্থার নূন্যতম বিকল্প পরিকাঠামো না থাকার অভিযোগ তুলছেন রোগীর আত্মীয়রা।
advertisement
আরও পড়ুন: করমণ্ডল দুর্ঘটনার পর এখনও নিখোঁজ কাছের মানুষেরা! পরিবারের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা ওড়িশা সরকারের
আরও পড়ুন: অভিশপ্ত করমণ্ডলের স্বপ্নে ঘুম নেই, কখনও অট্টহাসি, কখনও নীরব! হাসপাতালে এ কী ঘটছে
প্রসূতির স্বামী শহিদুল লস্কর জানান, বৃহস্পতিবার বিকেল ৫ টা নাগাদ তার স্ত্রীকে এখানে ভর্তি করেন। শুক্রবার সকাল ১০ টা থেকে বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় । এই তীব্র গরমের মধ্যেই তার স্ত্রী এখানে সন্তান প্রসব করার জন্য রয়েছেন। তিনি বিকেলে এসে তাঁকে অন্যত্র ভর্তি করার জন্য আসেন। যদিও স্বাস্থ্যকেন্দ্র থেকে জানানো হয়, তার সন্তান ভূমিষ্ট হয়ে গেছে। তিনি অভিযোগ করে বলেন, এখানে জেনারেটার বা অন্য কোনও বিকল্প ব্যবস্থা নেই। তিনি বাইরে দাঁড়িয়ে এত কষ্ট পাচ্ছেন। এই গরমে তাহলে যারা হাসপাতালের ভিতরে আছেন তাঁদের কতটা কষ্ট হচ্ছে। সেটা ভাবার বিষয়। তিনি অভিযোগ করে বলেন, তার সন্তান হয়েছে জানানো হলেও, ছেলে অথবা মেয়ে কী হয়েছে সেটা এখনও জানান হয়নি তাঁকে। তিনি প্রশ্ন তোলেন এটা কী ধরণের হাসপাতাল। যেখানে বিদ্যুৎ সরবারহ বন্ধ হলে অন্য কোনও বিকল্প ব্যবস্থা নেই।
রাকেশ মাইতি