হুগলিতে এখন ভরা রবি মরসুম। এই সময় জেলার বিভিন্ন প্রান্তে চাষ জমিতে শীতকালীন ফসলের পাশাপাশি চাষ হয় আলুর। হুগলি জেলায় এবার ৯১ হাজার হেক্টর জমিতে আলু চাষের লক্ষমাত্রা নেওয়া হয়েছে। তার পঞ্চাশ শতাংশ জমিতে আলু বসানো হয়েছে গেছে। খরিফের ধান তুলে আলু বসানোর কাজ চলছেসিঙ্গুর, হরিপাল, পোলবা-দাদপুর, পান্ডুয়া,ধনিয়াখালী সহ বিভিন্ন ব্লকে।
advertisement
আরও পড়ুন: ধানের উপর দিয়ে বইছে জলের স্রোত! অসময়ের বৃষ্টিতে মারাত্মক ক্ষতি
ডিসেম্বরে যখন ঠান্ডা পরতে শুরু হয় মাটি শুকনো থাকে রৌদ্রজ্বল আকাশ থাকে আলু চাষের সেটা হল উপযুক্ত সময়। কনকনে ঠান্ডায় গাছ বড় হয় আর মাটির তলায় আলু বাড়তে থাকে। এই সয়ম বৃষ্টি হলে আলু চাষে ক্ষতি হয়। মিগজাউমের প্রভাবে নিম্নচাপে গত কয়েকদিন ধরে মেঘলা আকাশ আর ঝিরঝিরে বৃষ্টি হয়েছে বিক্ষিপ্ত ভাবে। আজও একই ভাবে কখনো ভারী কখনো মাঝারি বৃষ্টি চলছে জেলা জুড়ে। ফলে আলু চাষের জমিতে জল দাঁড়িয়ে গেছে।
আরও পড়ুন: বাঁচবে খরচ, সোলার পাম্প ব্যবহারে জোর গোঘাটের কৃষি দফতরের
পোলবায় দেখা গেলআলু জমি থেকে আল কেটে জল বের করার চেষ্টা করছেন চাষীরা। যদিও বৃষ্টি হয়ে চলেছে এক নাগারে। অনেক চাষী এসময় ঋণ নিয়ে আলু চাষ করেন।আলু জমিতে দীর্ঘ সমস জল জমে থাকলে মাটির তলায় থাকা আলু পচে যাবে।নতুন করে আবার চাষ করতে খরচ হবে। এছাড়া জমি ভিজে থাকায় আবার আলু চাষের উপযুক্ত করতে সময় লাগবে। ফলে আলু চাষ পিছিয়ে যাবে। চাষ পিছিয়ে গেলে ফলন মার খাবে, আশঙ্কায় চাষীরা।
আরও খবর পড়তে ফলো করুন
https://whatsapp.com/channel/0029VaA776LIN9is56YiLj3F
হুগলি জেলা কৃষি উপ অধিকর্তা প্রিয়লাল মৃধা জানিয়েছেন,গত ২৪ ঘন্টায় ১৭.০৭ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে।আজকে বৃষ্টি আরও কিছুটা বেশি হবে।বৃষ্টি না থামলে ক্ষতি হবে।থেমে গেলে জমি থেকে জল বেরিয়ে যাবে তখন হয়ত অতটা ক্ষতি হবে না। এখনই ক্ষয়ক্ষতির হিসাব করা যাবে না।বৃষ্টি থামলে দেখতে হবে।
রাহী হালদার