করোনার জেরে গত দু'বছর চট্টোপাধ্যায় বাড়িতে পুজোর বেশ কিছু রদবদল ঘটেছে। আগে পুজোর চার দিনই ছাগ বলি হত। করোনাকালে সেই বলি বন্ধ হয়ে যায়। অষ্টমীতে ভোগ নিবেদন করা হত ভাত, ডাল, শুক্ত, মোচার ঘন্ট, খিচুড়ি, ইঁচড়ের ডালনা দিয়ে। করোনার কারণে সেই ভোগের মেনুতেও টান পড়েছিল গত দুই বছর। নবমীতে থাকত বিশেষ ভোজের পালা। মাছ, মাংস-সহযোগে পংক্তি ভোজে কবজি ডুবিয়ে খেতেন কম করে ৩০০ জন। শেষ দু-বছরে তাও হয়নি।
advertisement
আরও পড়ুনঃ প্রতিপদেই জ্বলে ওঠে রাজ রাজেশ্বরীর হোমকুণ্ড, বনেদিয়ানায় ঠাসা কৃষ্ণনগর রাজবাড়ির দুর্গাপুজোর ইতিহাস
তবে এ বছর আবার তা ফিরতে চলেছে। নবমীর ভোজ হবে চট্টোপাধ্যায় বাড়িতে। চিতুই দিয়ে পায়েস, পিঠে, কলার বড়া এই বাড়ির পুজোর ভোগে বিশেষত্ব। নারকেল দিয়ে চালের গুড়ো দিয়ে হয় চিতই পিঠে। দশমীর দিন ঠাকুর বরনের পর সিঁদুর খেলা আর কাঁধে করে বাবু ঘাটে নিয়ে গিয়ে ঠাকুর বিসর্জন। বিসর্জনের পর চন্ডীর ঘট নিয়ে আসা হয় ঠাকুর দালানে। ঠাকুর বসার জায়গা আজও মাটির। সেখানেই সারা বছর ধরে চন্ডী ঘট পুজো হয়।
আরও পড়ুনঃ ওয়ারেন হেস্টিংস আসতেন, সাবেকিয়ানা-ইতিহাসে ঠাসা গড়িয়ার বন্দ্যোপাধ্যায় বাড়ির পুজো
পরিবার বড় হয়েছে। অনেকেই বিদেশে বা ভিন রাজ্যে থাকেন। পুজোর সময় আসার চেষ্টা করেন। না আসতে পারলেও বাড়ির পুজোর টান কমে না। পালা করে নয়, পরিবারের ছেলে মেয়ে নির্বিশেষে সকলেই নিজেদের সামর্থ অনুযায়ী পুজোর অর্থ দেন। তা দিয়েই চলে পুজো। আগে গানের আসর বসত বাইরের শিল্পীদের নিয়ে। এখন বাড়ির সবাই মিলে গান নাটক বৈঠকী আড্ডা হয় পুজোর চার দিন। হই হুল্লোড় করে কাটে পুজোর কটা দিন।
রাহী হালদার