বর্তমানে বাজারে মাটির আধুনিক ও রং বাহারি জিনিসপত্র চলে আসায় মানুষ আর চিরাচরিত প্রথায় তৈরি হাড়ি কলসি ব্যবহার করতে চাইছে না। তাতেই ভাটা পড়েছে কুমোর পাড়ার এইসব পরিবারের সদস্যের উপার্জনে। এটাই তাদের মূল জীবিকা, তাই এই সমস্ত মাটির জিনিসপত্র বিক্রি করেই সংসার চালায় তারা। কিন্তু বাজারে এই সমস্ত জিনিসের চাহিদা কমে যাওয়ায় বড়ই অভাবের মধ্যে দিয়ে জীবন যাপন করতে হচ্ছে তাদের।
advertisement
আরও পড়ুন: পারভেজের প্রত্যাবর্তন! বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে ফিরলেন পুরশুড়ার প্রাক্তন বিধায়ক
পরিবার নিয়ে এখন তারা কি করবেন তাই নিয়েই হতাশার মধ্যে দিন কাটাচ্ছেন। উল্লেখ্য যে, একটা সময় এই সমস্ত মাটির তৈরি জিনিসপত্র প্রচুর ব্যবহারের কাজে লাগতো। বিশেষ করে পানীয় জলের জন্য কলসি, রান্নার হাঁড়ি, নানা ধরনের প্রদীপ ইত্যাদি। কিন্তু সভ্যতা এগিয়ে যাওয়ার ফলে কালের নিয়ম এই মানুষের কাছে ব্রাত্য হয়েছে এই সমস্ত মাটির হাঁড়ি, কলসি। সেই স্থানে জায়গা করে নিয়েছে অ্যালুমিনিয়াম, স্টিল ইত্যাদির তৈরি বাসনপত্র। নিদেনপক্ষে যেখানে আজও মাটির হাড়ি, কলসি ব্যবহৃত হচ্ছে সেখানেও তা তৈরি আধুনিক পদ্ধতিতে।
পরিবারের একজন সদস্য জানান যে, একটা সময় ছিল যখন এই মাটির জিনিস এত বেশি পরিমাণে বিক্রি হত যে চাহিদা অনুযায়ী যোগান দেওয়া যেত না। এমনকি মানুষজন বাড়িতে এসেও মাটির তৈরি জিনিসপত্র কিনে নিয়ে যেত। তবে এখন বিক্রি বাটা কমে যাওয়ায় সংসারে অভাব দেখা দিয়েছে। অন্যদিকে তেমন জমি জায়গা না থাকায় তাদের এই পেশার উপরেই নির্ভর করে চলতে হচ্ছে।
Suvojit Ghosh