স্কুলে পরিকাঠামোর অভাব নেই। ছাত্রের অভাবে একাধিক ক্লাস রুম ফাঁকা পরে থেকে নষ্ট হচ্ছে। স্কুল বাড়ির একাংশ ভুতুড়ে বাড়ির চেহারা নিয়েছে।
রক্ষিত স্কুলে গড়ে ষাট জন ছাত্র মাধ্যমিক পরীক্ষা দেয় প্রতি বছর। এবার সেই সংখ্যা এগারো।
আরও পড়ুন: ১২ মাসে বারো দিন, স্কুল সেজে উঠবে জন্মদিনের উৎসবে! কাদের জন্য এই অভিনব ভাবনা হাওড়ায়?
advertisement
কেন এরকম নামী স্কুলে ছাত্র কমছে? স্কুল শিক্ষককদের মতে, ছেলেময়েদের ইংরেজি মাধ্যম স্কুলে পড়ানোর ঝোঁক বেড়েছে অভিভাবকদের। বাংলা মাধ্যম সব স্কুলেই ছাত্র কমছে। রক্ষিত স্কুল চন্দননগর কর্পোরেশন পরিচালিত। মোট ছ' টি স্কুল আছে কর্পোরেশনের।কানাইলাল অরবিন্দর মতো স্কুলগুলিতে ছাত্র ভর্তির চাপ বেশি।
রক্ষিত স্কুলের প্রধান শিক্ষক বিভাস কুমার মণ্ডল বলেন, যেসব অভিভাবকদের সামর্থ্য আছে তারা ইংরেজি মাধ্যম স্কুলে ছেলেমেয়েদের ভর্তি করছেন।যার ফলে বাংলা মাধ্যম স্কুলে ছাত্র সংখ্যা কমছে। এই স্কুলেও কমেছে। কর্পোরশনের স্কুলগুলিতে এক সঙ্গে লটারি ও ভর্তি প্রক্রিয়া চলে। আলাদাভাবে স্কুলে লটারি না করে কর্পোরেশন যদি কেন্দ্রীয়ভাবে লটারি করে তারপর ছাত্র-ছাত্রীদের স্কুলে ভাগ করে দেয় তাহলে সুবিধা হয়। তাহলে ছাত্র ঘাটতি মিটবে। এ বিষয়ে কর্পোরেশনের সহযোগিতা দরকার।প্রাক্তনরাও এগিয়ে আসছে এটা ভাল। স্কুল আগে যে অবস্থায় ছিল সে অবস্থায় হয়তো ফিরবে না, তবে কিছুটা ভাল হবে।'
চন্দননগর কর্পোরেশনের মেয়র রাম চক্রবর্তী বলেন, অভিভাবকরা কানাইলাল অরবিন্দ বঙ্গ বিদ্যালয়কেই ছাত্র ভর্তির জন্য বেছে নিচ্ছেন৷ বাংলা মাধ্যম স্কুলে ছাত্র সংখ্যা কমছে, এটা ঠিক রক্ষিত স্কুলের ক্ষেত্রে অনেক সময় আমাদের অভিযোগ শুনতে হয় যে শিক্ষকদের ঠিকমতো পাওয়া যায় না৷ আমরা যোগাযোগ রাখছি। যারা প্রাক্তনী আছে তারা উদ্যোগ নিয়েছে এটা ভাল কথা৷ সবাই মিলেই হৃত গৌরবকে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করতে হবে।
দূর্গাচরণ রক্ষিত স্কুলের প্রাক্তনীরা স্কুলে জমায়েত হয়ে একটি সভা করেন। স্কুল বাঁচাতে সবাইকে এগিয়ে আসার আবেদন করেন। রক্ষিত স্কুলের প্রাক্তনী নীলাঞ্জন মিত্র বলেন, 'স্কুলের ভগ্নদশা, কোনও ক্লাসে আটজন কোনও ক্লাসে দশজন পড়ুয়া, এটা আমাদের ভাবাচ্ছে।সরকারি শিক্ষা ব্যবস্থা এইভাবে যাতে রুগ্ন না হয়ে যায় তার জন্য আমরা চেষ্টা করব।আমরা চাইছি প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে। স্কুলের শিক্ষক প্রাক্তনী এবং অভিভাবকদের নিয়ে যাতে আমাদের গর্বের স্কুল তার গৌরব ফিরে পায়, সেই চেষ্টা করতে হবে।আমরা ঠিক করেছি ন দফা দাবিতে প্রশাসনের বিভিন্ন দফতরে ডেপুটেশান দেব।মানুষকে নিয়ে পথে নামব।'
রাহী হালদার