চন্দন যাত্রা অনুষ্ঠান শেষে মাহেশ জগন্নাথ মন্দিরের সেবাইত পিয়াল অধিকারী বলেন, "আজ থেকে শুরু হল চন্দন যাত্রা উৎসব। আজকের পর থেকে টানা ২১ দিন ধরে চলবে এই চন্দন যাত্রা উৎসব। করোনার কারণে বিগত দুই বছর মাহেশের রথের চাকা গড়ায়নি। কিন্তু এই বছর অবশেষে চন্দন যাত্রার মধ্যে দিয়ে মাহেশের রথের শুভ সূচনা হল। আজ থেকে ঠিক ৪৭ দিন বাদে মহেশের রথের চাকা গড়াবে। আবারো ভক্তবৃন্দদের ঢল নামবে মহাপ্রভু জগন্নাথের রথের টান দেওয়ার জন্য।"
advertisement
কথিত আছে, অক্ষয় তৃতীয়ার দিন নাকি জগন্নাথ দেব রাজা ইন্দ্রচন্দ্রকে স্বপ্নাদেশ দিয়েছিলেন তার সারা গায়ে চন্দনের প্রলেপ দেওয়ার। সেই থেকেই প্রতি বছর এই দিনে পুরীর জগন্নাথ দেবের মন্দিরের মতো, হুগলির মাহেশের জগন্নাথ মন্দিরের জগন্নাথ বলরাম এবং সুভদ্রাকে কপালে চন্দনের পট্টি পড়ানো হয়।
কথিত ইতিহাস অনুযায়ী, রাজা ইন্দ্রচন্দ্রকে জগন্নাথ দেব স্বপ্নাদেশ দিয়ে বলেন, গরম থেকে রেহাই পাওয়ার জন্য তাকে চন্দন মাখিয়ে দিতে। এর ঠিক ৪২ দিন বাদে রাজার কাছে আবার স্বপ্নাদেশ আসে এবং ঠাকুর বলেন, চন্দনের জন্য তার মাথা ধরে গেছে, তাই তাকে স্নান করাতে হবে। ঠাকুরের আদেশ অনুযায়ী রাজা ১০৮ টি কলসির জল দিয়ে জগন্নাথ দেবকে স্নান করান। সেই থেকেই চন্দন যাত্রার ৪৫ দিন বাদে জগন্নাথ দেবের স্নানযাত্রা উৎসব পালন হয়। এই স্নানের পরে ঠাকুরের নাকি খুব জ্বর আসে। তার জন্য স্নান যাত্রার পর ১২ দিন ঠাকুরকে গর্ভগৃহে নিভৃত বাসে রাখা হয়। ১২ দিনের মধ্যে জগন্নাথ দেব সুস্থ হয়ে ওঠেন, তারপর তাকে নিয়ে শুরু হয় রথযাত্রা।
Rahi Haldar