রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে থাকা বড় বড় শুকনো গাছ যখন তখন ভেঙে পড়তে দেখা যায়। সম্প্রতি এমনই ঘটনায় দু'জনের মৃত্যু হওয়ায় বিপদের আশঙ্কা আরও বেড়েছে। এই অবস্থায় প্রশাসন মৃত গাছগুলি কেটে রাস্তার ধার থেকে সরিয়ে দিলে বিপদের আশঙ্কা থাকবে না বলে মনে করছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। কিন্তু তা না হওয়ায় ক্ষোভ ক্রমশ বাড়ছে।
advertisement
আরও পড়ুন: পরিবারের সকলে বিয়ের অনুষ্ঠানে গিয়েছিলেন, এসে দেখলেন আগুন জ্বলছে বাড়িতে
আরামবাগের বিভিন্ন এলাকায় রাস্তার ধারে সার বেঁধে দাঁড়িয়ে থাকার শুকনো গাছের দৃশ্য আমাদের ক্যামেরাতেও ধরা পড়েছে। দৌলতপুর, নৈসড়া, গির্জাতলা সহ বেশ কয়েকটি এলাকায় সার দিয়ে এভাবেই শুকনো গাছ রয়েছে। গ্রীষ্মকালের বিকেলে কালবৈশাখী ঝড়ে এই গাছগুলি ভেঙে পড়ে মারাত্মক দুর্ঘটনা ঘটতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। সব মিলিয়ে শুকনো গাছ সরিয়ে নেওয়ার বিষয়ে প্রশাসন তেমন উদ্যোগী না হওয়ায় রীতিমত অসন্তুষ্ট আরামবাগবাসীরা।
এই বিষয়ে পুরসভার প্রশাসকমণ্ডলীর সদস্য সমীর ভাণ্ডারি বলেন, সমস্যা তো আছেই। এই গাছগুলি কেটে নেওয়া নিয়ে দুটি বৈঠকও হয়েছে। কিন্তু বারবার বলা সত্ত্বেও বন দফতর বা পিডব্লিউডি কেউ এই গাছ কাটার বিষয়ে উদ্যোগে হয়নি বলে অভিযোগ করেন তিনি। সকলকে আশ্বস্ত করে জানান, দরকারে পুরসভাই গাছগুলি কেটে ফেলবে।
এই শুকনো গাছ নিয়ে সমস্যা প্রসঙ্গে আরামবাগের বিজেপি বিধায়ক মধুসূদন বাগ বলেন, বিধানসভায় এই নিয়ে অভিযোগ জানিয়েছি। রাস্তা ধারে যে সমস্ত শুকনো গাছ আছে সেগুলি সরিয়ে ফেলার বিষয়ে সরকারের দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া উচিৎ। পঞ্চায়েত ও পুরসভা এলাকায় টেন্ডার করে এগুলো বিক্রি করে দেওয়া দরকার। নাহলে যেকোনও সময় প্রাণহানি হতে পারে।
শুভজিৎ ঘোষ