পেন ডাউন কর্মসূচির নামে এই দিন সকাল থেকে জেলা স্বাস্থ্য দপ্তরের আধিকারিকরা কাজ বন্ধ রাখে। হাইকোর্টের রায় ঘোষণা হওয়ার পরেও তাদের দেখা যায় খোশ মেজাজে নিজেদের মধ্যে গুলতানি করতে। ফলত হয়রানির শিকার হতে হয় স্বাস্থ্য দফতরে কাজের সুত্রে আসা সাধারণ মানুষদের। এই ঘটনার পরিবর্তন ঘটে মুখ্য জেলা স্বাস্থ্য আধিকারি হস্তক্ষেপে। সমস্ত কর্মীদের ধমক দিয়ে তাদের নিজেদের কাজে পাঠান মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক রমা ভূঁইয়া।
advertisement
আরও পড়ুন: কমিশনের 'ভাবমূর্তি' উজ্জ্বল করতে 'বড়' পদক্ষেপ। স্বচ্ছতা বাড়াতে মরিয়া এসএসসি চেয়ারম্যান
আরও পড়ুন: অর্পিতা মা হতে চেয়েছে শুনে আকাশ থেকে পড়লেন মা! তারপরেই বিস্ফোরণ!
রমা ভূঁইয়া জানান, ডিএ সংক্রান্ত সমস্যা সমস্ত সরকারি কর্মচারীদেরই। তা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলনও চলছে। কিন্তু আন্দোলন কখন এই কাজ বন্ধ রেখে করা উচিত নয়। স্বাস্থ্য দপ্তরের মতন এসেনশিয়াল একটি জায়গায় কাজ বন্ধ রাখা কখনোই শ্রেয় নয়। তিনি আরো জানান কাজের মধ্য দিয়েও প্রতিবাদ করা যায়। কাজ চলাকালীন সময়ে কালো ব্যাচ পড়ে সেই প্রতিবাদ জানানো যেত। তিনি যখনই জানতে পারেন তার দপ্তরের কর্মচারীরা কর্ম বিরতি ঘোষণা করেছে তখনই তাদের ধমক দিয়ে আবারো কাজে পাঠান তিনি।
রাজ্যের সরকারি কর্মীদের মহার্ঘ ভাতা মামলায় আগেই রায় দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট। সেই রায়ের রিভিউ পিটিশনের আরজি জানায় রাজ্য। বিচারপতি হরিশ টন্ডন ও বিচারপতি রবীন্দ্রনাথ সামন্তের ডিভিশন বেঞ্চে এই পিটিশনের শুনানি শেষ ঘোষণা হয়েছিল ২০ মে তারিখে। ডিভিশন বেঞ্চ রায় ছিল, তিন মাসের মধ্যে বকেয়া ডিএ দিতে হবে রাজ্য কে। সেই রায়ের ভিত্তিতেই নতুন করে পুনর্বিবেচনা করার আর্জি জানায় রাজ্য। সেই আর্জিও বৃহস্পতিবার সকালে খারিজ করেন হাই কোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ।
রাহী হালদার