নদিয়ার হাবিবপুরে পরমহংস হরিহরানন্দের স্মৃতি মন্দির প্রতিষ্ঠা হবে। সেই উৎসব উপলক্ষ্যে বিদেশি ও দেশীয় ধর্মীয় পর্যটকেরা এখানে সামিল হন। সকালে বেলুড় মঠ ঘুরে কোন্নগরে রাজরাজেশ্বরী মন্দিরে পুজো পাঠ করেন। এরপর দুপুরে প্রসাদ খেয়ে শ্রীরামপুরের রায়ঘাট ঘুরে দক্ষিণেশ্বর চলে যান।
আরও পড়ুনঃ অন্ধবিশ্বাস ডেকে আনল মধ্যযুগীয় বর্বরতা, ভয়ানক ঘটনা হুগলিতে, লজ্জায় মাথা হেঁট
advertisement
এ বিষয়ে রাজরাজেশ্বরী মঠ মন্দিরের পুজারী সাচ্চিস্বরুপ বলেন, করোনার আগে একবার বিদেশি ধর্মীয় পর্যটকরা এসেছিলেন। এ বারের সংখ্যা অনেকটাই বেড়েছে। পুরী প্রঞ্জানা মিশনের পূজারী আদিত্য বানপ্রস্থ বলেন, ১৫ দিন আগে বিদেশি ভক্তরা পুরীতে এসেছেন। এরপর তারা কলকাতায় আসেন। এখানে তিন দিন কাটিয়ে নদিয়ায় স্মৃতি মন্দিরের প্রতিষ্ঠা উৎসবে যোগ দেবেন। সেখানে তিন দিন ধর্মীয় কর্মশালা শেষ করে ২৭ তারিখ বিদেশী ধর্মীয় পর্যটকেরা দেশে ফিরবেন। বাকি দেশীয় ভক্তরা পুরীর আশ্রমে থাকবেন।
এ বিষয়ে এক বিদেশী পর্যটক বলেন, মন্দির বা ঈশ্বরের জায়গা সব মানুষের জন্য এক। ভারতীয় ধর্মীয় রীতিনীতি এবং সংস্কৃতি বারবারই আবেগপ্রবণ করে তুলেছে তাদের। তাই তারা বারবার ছুটে আসেন এই সংস্কৃতির ডাকে। একইসঙ্গে তিনি করো জোড়ে নমস্কার করে ধন্যবাদ জানান রাজরাজেশ্বরী মন্দির কর্তৃপক্ষ ও এখানকার সমস্ত মানুষদের তাদের পাশে থাকার জন্য।
এই বিষয়ে কোন্নগর পৌরসভার পুরপ্রধান স্বপন দাস বলেন, "এটা কোন্নগরের গর্ব। দেশ বিদেশ থেকে মানুষরা আসছে। আগামীতে যাতে কোন্নগরকে নিয়ে আরও বেশি গর্ববোধ হওয়ার মতো বিষয়ে সর্বদা তৎপর থাকব।"
রাহী হালদার