আরও পড়ুন: এক সপ্তাহের মধ্যেই পিচ উঠে যাচ্ছে নতুন রাস্তায়, ক্ষুব্ধ এলাকাবাসী
শ্রীরামপুর শ্রমজীবী হাসপাতাল থেকে যোগাযোগ করা হয় চুঁচুড়ার একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা আরোগ্যর সঙ্গে। আরোগ্যর সদস্যরা গিয়ে ওই মহিলাকে উদ্ধার করে নিয়ে এসে তাকে নোংরা অবস্থা থেকে স্নান করিয়ে পরিষ্কার করান। খাওয়া-দাওয়ার বন্দোবস্ত করেন। সেবা সুশ্রূষা করে সুস্থ করে তোলেন। তাদের এই কাউন্সেলিং এর মধ্যে দিয়ে জানা যায় মহিলার বাড়ি বর্ধমানের লোকোপাড়ায়। অবশেষে শ্রীরামপুর থেকে বর্ধমানের লোকোপাড়ায় বাড়িতে ফিরছেন বছর আশির ওই বৃদ্ধা পেয়ারি জসোয়ারা।
advertisement
আরও পড়ুন: অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র না সাপের আড্ডাখানা, বুঝতে অসুবিধায় পড়তে পারেন!
এই বিষয়ে শ্রীরামপুর শ্রমজীবী হাসপাতালে সম্পাদক গৌতম সরকার তিনি জানান, শ্রীরামপুর শ্রমজীবীহাসপাতালের কাছে দিন ১৫ ধরে পড়েছিলেন ওই বৃদ্ধা মহিলা। মহিলার সঙ্গে কথা বলে তাদের প্রাথমিক অনুমান হয়েছিল মহিলার বাড়ি বেনারসে। তবে বেনারস পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করে কোন লাভ হয়নি। মহিলাকে সঠিকভাবে উদ্ধার করে বাড়ি পৌঁছানোর জন্য তারা যোগাযোগ করেন চুঁচুড়া আরোগ্যর সঙ্গে। অবশেষে আরোগ্যর সহযোগিতায় এই মহিলার থেকে সঠিক ঠিকানা জানতে পেরে মহিলাকে পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে তার বাড়িতে।
এই বিষয়ে ও স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার কর্ণধার ইন্দ্রজিৎ দত্ত তিনি বলেন, মহিলার খবর পাওয়ার পরে তারা উদ্ধারের জন্য মহিলার কাছে লোক পাঠান। মহিলাটিকে উদ্ধার করে চুঁচুড়া আরোগ্যতে নিয়ে আসা হয় দিন তিনেক আগে। সেখানেই তার সেবা-শুশ্রূষা করে তাকে সুস্থ করা হয়। নোংরা জামা কাপড়ের বদলে ভালপরিষ্কার জামা কাপড় দেওয়া হয়। তার সঙ্গে কথা বলে জানা যায় তার ঠিকানা বর্ধমানের একটি গ্রামে। সেই মতন বর্ধমান পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করে মহিলার ছেলেকে খুজে পাওয়া যায়। পরবর্তীতে চুঁচুড়া থেকে গাড়ি করে বর্ধমানে পৌঁছে দেওয়া হয় ওই বৃদ্ধা মহিলাকে।
আরও খবর পড়তে ফলো করুন
https://whatsapp.com/channel/0029VaA776LIN9is56YiLj3F
অসুস্থ বৃদ্ধাকে যখন একদিকে সবাই দূরে ঠেলে দিচ্ছিলেন সেই সময় চুঁচুড়ার আরোগ্য ও শ্রীরামপুর শ্রমজীবী হাসপাতালে যৌথ উদ্যোগে অবশেষে নিজের বাড়িতে ফিরছেন বছর ৮০-র ওই বৃদ্ধা।
রাহী হালদার