আরও পড়ুন: বৃষ্টি চিন্তা বাড়াচ্ছে মৃৎশিল্পীদের, সময়ে ‘ঠাকুর’ মণ্ডপে পৌঁছবে তো!
আজকাল থিমের ঠাকুরের বেশ রমরমা। কিন্তু তারই মধ্যে দুর্গার ঐতিহ্যবাহী ডাকের সাজের এক অন্যরকম আবেদন আছে। প্রাচীনকালে এই ডাকের সাজ দিয়েই সাজানো হতো মা দুর্গাকে। যে ধারাবাহিকতা আজও ঐতিহ্যবাহী পুজোগুলোয় বহমান। শোলা কেটে কাগজের উপরে আঠা বসিয়ে তৈরি করা হয় এই ডাকের সাজ। এই কাজ যেমন পরিশ্রমের তেমনই এই কাজের জন্য প্রয়োজন নিখুঁত দক্ষতা। শিল্পীর সূক্ষ্ম হাতের কাজ দিয়েই ফুটে উঠে বিভিন্ন প্রতিমার রূপ। এই কাজ যতটাই সূক্ষ ততটাই সময় সাপেক্ষ। একটি প্রতিমার গোটা ডাকের সাজ তৈরি করতে তিনজন কারিগরের এক সপ্তাহ সময় লাগে। তবে এত পরিশ্রম করেও দিনের শেষে খুব একটা আয়ের মুখ দেখতে পান না শিল্পীরা। অপরদিকে বিষ ফোঁড়া হয়ে দাঁড়িয়েছে অতিরিক্ত শোলার দামের মূল্য বৃদ্ধি। এই অবস্থায় ক্রমশই আয় কমছে ডাকের সাজ শিল্পীদের। আর তাই মালাকারের পেশা ছেড়ে অনেকেই অন্য কাজ খুঁজে নিচ্ছেন।
advertisement
হুগলির বারুইপাড়ার ডাকের সাজ শিল্পী রথীন মালাকার বলেন, অন্য সমস্ত কুটির শিল্পের জন্য সরকারি সাহায্যের ব্যবস্থা থাকলেও এই শিল্পের জন্য কোনরকম সরকারি সাহায্য নেই। তাই মহাজনের কাছ থেকে চড়া সুদে টাকা নিয়েই শিল্পটা টিকিয়ে রেখেছি। সরকার সাহায্য না করলে এই ঐতিহ্যবাহী শিল্প অবলুপ্ত হয়ে যাবে বলে তিনি আশঙ্কার কথা শোনান।
রাহী হালদার