পরিবার সূত্রে খবর, দোলের দিন থেকে নিখোঁজ ছিলেন আদতে বিহারের বাসিন্দা রাজেশ্বর সাহানি। তার পরিবারের লোকজন কোন্নগরে থাকে। অনেক খোঁজাখুঁজির পর না পেয়ে উত্তরপাড়া থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করে তার পরিবার। কিন্তু সেই থেকে বৃদ্ধের কোন খোঁজ পুলিশ দিতে পারেনি।
আরও দেখুন
হাসপাতাল সূত্রে খবর, এই বছর মার্চ মাসে দোলের পরদিন ডানকুনি থানা থেকে রাস্তায় দুর্ঘটনার কবলে পড়া এক বৃদ্ধকে শ্রীরামপুর ওয়ালস হাসপাতালে ভর্তি করে পুলিশ। এতদিন সেখানেই তার চিকিৎসা হয়েছে। বৃদ্ধের কোনও খোঁজ না পাওয়ায় হ্যাম রেডিওর সাহায্য নেয় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
advertisement
আরও দেখুন
পাশাপাশি ডানকুনি থানাতেও বিষয়টি জানানো হয়। বৃদ্ধকে জিজ্ঞাসাবাদ করে বিহারের একটি ঠিকানা পায় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। হ্যাম রেডিও বৃদ্ধের পরিবারের খোঁজখবর শুরু করে। বিহারের যে গ্রামে বাড়ি ছিল বৃদ্ধের সেই বাড়ি খুঁজে পায়। জানা যায় বৃদ্ধ পরিবার নিয়ে বছর পনেরো আগে কলকাতায় চলে এসেছেন। তাঁর এক আত্মীয়ের সঙ্গে কথা বলে বৃ্দ্ধের ছেলের ফোন নম্বর পায় হ্যাম রেডিওর সদস্যরা। শুক্রবার কোন্নগরের ছেলের ঠিকানা যায় হাম রেডিওর সদস্যরা। ছবি দেখে পরিবার শনাক্ত করে ওই বৃদ্ধকে।
শনিবার হাসপাতাল থেকে বাড়ির লোকের হাতে তুলে দেওয়া হয় রাজেশ্বর সাহানিকে। বৃদ্ধকে খুঁজে পেয়ে স্বভাবতই খুশি তার পরিবার। হ্যাম রেডিওকেও ধন্যবাদ জানিয়েছেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
হাসপাতালের অ্যাসিস্ট্যান্ট সুপার বাসুদেব জোয়ারদার বলেন, হাসপাতালে এরকম অনেক রোগী আসে যারা চিকিৎসার পর সুস্থ হয়ে ওঠে কিন্তু তাদের বাড়ি নিয়ে যাওয়ার মত কেউ থাকেনা।এটা সত্যিই আমাদের কাছে একটা দায়।ধন্যবাদ হাম রেডিওকে কে যারা এই বৃদ্ধকে বাড়ি ফেরাতে ব্যবস্থা সাহায্য করলেন।
ওয়েস্ট বেঙ্গল হ্যাম রেডিও ক্লাবের সদস্য জ্যোতি প্রকাশ মুখোপাধ্যায় বলেন,বিহারের বালিয়া জেলার বাসিন্দা এই বৃদ্ধ।হাসপাতাল থেকে জানানোর পর।আমাদের নেটওয়ার্ক কাজে লাগিয়ে বিহারে খোঁজা হয় তারপর সেখান থেকে কোন্নগরে তার ছেলের খোঁজ পাই আমরা।আজ বৃদ্ধ তার পরিবারের কাছে ফিরে যেতে পারল এতে ওরা যেমন খুশি হয়েছে হ্যাম রেডিও ক্লাবও খুশি।
Rahi Halder