বর্তমানে চন্দননগর পৌরনিগমের জলের পাম্প অপারেটের হিসাবে অস্থায়ী কর্মী দীপক। বাকি সময়টা ফুটবল জাগলিং প্র্যাকটিস করেন তিনি।ইতিমধ্যে তিনটি ইভেন্টে ইন্ডিয়া বুক অফ রেকর্ড জায়গা করেছেন তিনি। ২০২০ সালে ফুটবল মাথায় নিয়ে সাইকেলে ১৫ কিলোমিটার রাস্তা পারি দিয়েছেন । ২০২১ সালে বোতলের মাথায় ফুটবল নিয়ে ৫৮ মিনিটের রেকর্ড আছে তাঁর। এ ছাড়াও ফুটবল মাথায় নিয়ে সাঁতার কাটার ওয়ার্ল্ড রেকর্ড আছে কুড়ি মিনিটের।
advertisement
আরও পড়ুনঃ মাধ্যমিক পরীক্ষা হলে হাজির স্বয়ং পর্ষদ সভাপতি, দেখলেন কেমন চলছে পরীক্ষা
কিন্তু এতো কিছুর মাঝেও সরকারি কোন স্বীকৃতি পাননি কোনও দিন।আর্থিক সাহায্য পেলে ওয়ার্ল্ড রেকর্ড করতে পারবেন দীপক।কিন্তু বিপুল পরিমাণের অর্থ জোগাড় করার পরিস্থিতি নেই তাঁর কাছে। মা ও ছেলের সংসার। একা রোজগারে তিনি। কীভাবে এত টাকার যোগার করবে তিনি।তাই এই প্রাকটিস চালিয়ে যাচ্ছে যদি কোনও দিন সুযোগ হয় সেটার দিকে তাকিয়ে ।
জাগলার দীপক রায় বলেন ‘আগে ফুটবল খেলতাম । তারপরে উদয়ন ব্যায়াম সমিতিতে জিমন্যাস্টিক করা শুরু করি । মূলত আমি ফুটবল জাগলার। তা ছাড়াও ফায়ার জাগলিং সহ ছোট ছোট উপকরণ দিয়ে নানা রকম জ্যাগলিং করে থাকি। তিনখানা বিষয়ে আমি ইন্ডিয়ার রেকর্ড করেছি।ফুটবল মাথায় নিয়ে সাইকেল চালিয়ে, বোতলের উপর রেখে ও সাঁতার কাটাতে।’
আরও পড়ুনঃ আইন নিয়ে মানুষকে সচেতন করতে নয়া উদ্যোগ! শুরু দুয়ারে আইনি পরামর্শ কর্মসূচী
তিনি আরও বলেন, ‘এটা ওয়ার্ল্ড রেকর্ড করার জন্য সর্বত ভাবে চেষ্টা চালাচ্ছি। কিন্তু আর্থিক প্রতিবন্ধকতাটা সমস্যা হচ্ছে ।এই খেলাকে আমি সকল বাচ্চাদের মধ্যে ছড়িয়ে দিতে চাই ।জাগলিং বিষয়টা মানুষের মন থেকে উঠে যাচ্ছে।আমার চেষ্টা এটাকে ফিরিয়ে আনা। আমি যেখানে চাকরি করি সেখানে সময়ের একটা বড় সমস্যা ।সে জায়গা থেকে সহযোগিতা পেলে আমি একটা বড় জায়গায় পৌঁছাতে পারব ।ওয়ার্ল্ড রেকর্ড তৈরি করতে গেলে বিপুল পরিমাণে অর্থে প্রয়োজন ।সেই অর্থের সংস্থান করতে পারলে দেশের মুখ উজ্জ্বল করতে পারব।‘
রাহী হালদার