১৫ জুন পীর পাঞ্জাল হিমালয়ের সবচেয়ে কঠিন শৃঙ্গ সামিট করে দলটির ছ জন। বাকিরা খারাপ আবহাওয়ার জন্য সামিট না করেই ফেরেন। ক্যাম্প দুই এ ফিরে ১৭ জুন সামিক করেন দেওটিব্বা। চুঁচুড়ার পিপুল পাতিল বাসিন্দা দেবাশীষ মজুমদার পেশায় একজন সাঁতার প্রশিক্ষক। বছর তিরিশের দেবাশীষের ২০১৫ সাল থেকে পাহাড়ে চড়ার নেশা । পর্বতারোহণের প্রশিক্ষণ নিয়ে শুরু হয় পাহাড় চড়া। এর আগে বিসি রায় ও নন্দা ঘুমটি শৃঙ্গ জয় করেন দেবাশিষ। চুঁচুড়ার পর্বতারোহী বাড়ি ফিরে জানান,খুব টেকনিক্যাল পিক হল ইন্দ্রাসন। বিপদজনকও বটে। প্রতি পদে বিপদ নিয়ে বরফ কেটে এগিয়ে যেতে হয়। তার উপর খারাপ আবহাওয়া।
advertisement
দেবাশীষ জানান, তিনদিন ক্যাম্প তিনে বসে থাকতে হয়েছে তুষার ঝড়ের কারণে। তিনি বলেন পাহাড়ের কোথাও কোথাও এমন পরিস্থিতি ছিল যেখানে তাঁদের হামাগুড়ি দিয়ে উঠতে হয়েছে এবং কোথাও এতটাই খারাপ শৃঙ্গ ছিল যেখানে একজনের বেশি দু'জনের যাওয়া সম্ভব নয় এমনকি সেখানে তাঁদের পিঠের ব্যগটি নিয়েও তাঁরা উঠতে পারবেন না। এরকম পরিস্থিতিতে প্রথমে নিজেকে উপরে উঠে তারপরে দড়ি দিয়ে তাঁদের ব্যাগ গুলিকে তুলতে হয়েছিল। তাদের দলের অন্যান্য সদস্যদের মধ্যে ছিলেন সোনারপুরের শত্যরূপ সিদ্ধান্ত, রুদ্রপ্রসাদ হালদার। কিছু দিন আগেই চন্দননগরের মেয়ে পিয়ালী বসাক এভারেস্ট জয় করে ফিরেছেন। দেবাশীষ বলেন, এভারেস্ট জয় প্রত্যেক পর্বতারোহীর স্বপ্ন।এর পর তাঁর লক্ষ কাঞ্চনজঙ্ঘা ও এভারেস্ট জয়।
রাহী হালদার