বাজার জুড়ে ছেড়ে রয়েছে প্লাস্টিকের ঘট। বেশিরভাগ পুণ্যার্থীরাই প্লাস্টিকের ঘট নিয়ে যাচ্ছেন বাবার মাথায় জল ঢালতে। জল ঢালা হয়ে গেলে সেই ঘট গুলিকে অনেকেই ভাসিয়ে দেন গঙ্গায়। যার ফলে বাড়ে গঙ্গা দূষণের সমস্যা। কিন্তু অপরদিকে মাটির ঘট ব্যবহার করলে এই সমস্যা থেকে রেহাই মিলবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। অতীতে সমস্ত পুণ্যার্থী কাঁধে করে মাটির ঘড়ায় জল ভরে বাঁক নিয়ে যেতেন বাবার মাথায় জল ঢালতে। এবং সেই ঘট জলে ভাসিয়ে দিলেও সে মাটি আবারও মিশে যেত পরিবেশের সঙ্গে। ইদানিংকালে প্লাস্টিকের ঘট আসায় একইসঙ্গে ক্ষতি হচ্ছে পরিবেশ ও মাটির পাত্র তৈরির কারিগরদের।
advertisement
মাটির পাত্র তৈরির পেশায় যুক্ত এক কারিগর জানান, আগে যে পরিমাণ মানুষ এই পেশার সঙ্গে যুক্ত ছিল তার সিকি ভাগও টিকে নেই বর্তমানে। বাজারে প্লাস্টিকের ঘট আসায় ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়েছেন তারা। শেওড়াফুলির বাজার এলাকায়আগে যেখানে ৫০- ৬০ জন যুক্ত ছিল এই পেশার সঙ্গে সেখানে বর্তমানে মাত্র চার জন রয়েছেন এই কাজে। নতুন করে আর এই কাজের সাথে কেউই যুক্ত হতে চাইছেন না বলে জানিয়েছেন তিনি।
এরই মধ্যে কিছু পূর্নার্থীরা রয়েছেন তারা জানাচ্ছেন প্লাস্টিকের ঘটে জল নিয়ে যেতে সুবিধা হয় তাই অনেকে প্লাস্টিকের ঘট কেনে। অন্যদিকে আরও কিছু পুণ্যার্থী তারা জানাচ্ছেন বৈদিক নিয়মে মাটির ঘটের ব্যবহারের কথাই লেখা রয়েছে। শিবের মাথায় জল ঢালতে গেলে তা মাটির ঘটে জল নিয়ে যাওয়ায় উচিত বলে মনে করছেন তারা।
রাহী হালদার





