চাঁপদানী পৌরসভার ২২ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা তমা। একটি ভাড়া বাড়িতে মা, বাবা ভাই ও বোনকে নিয়ে তাদের সংসার। প্রথম থেকেই অভাব অনটন সংসারে ছিল তাদের। তার উপরে বাবার শারীরিক অসুস্থতার কারণে সেভাবে কাজ কর্ম করতে পারেন না। করোনায় সাংসারিক অবস্থা বেহাল হয়েছে। বাধ্য হয়ে ভাড়ায় টোটো নিয়ে রাস্তায় নেমেছে মেয়েটি। বর্তমানে সম্পূর্ণ সংসারের সব দায়িত্ব তারই কাঁধে।
advertisement
আরও পড়ুন: নতুন আতঙ্ক! বিষাক্ত মাকড়সার কামড় ঝলসে গেল মহিলার হাত! ছবি দেখলে শিউরে উঠবেন!
এই বিষয়ে তমা জানান, উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার পর থেকেই সংসার চালানোর জন্য এই জীবিকা বেছে নেওয়া। সকাল বেলা কলেজ যাওয়ার আগের সময় পর্যন্ত তিনি টোটো চালান। কলেজ থেকে ফিরে সন্ধ্যেবেলায় নিজের পড়াশোনা করেন। রাতের বেলা নটা থেকে বারোটা পর্যন্ত আবারো তিনি টোটো নিয়ে বেরিয়ে পড়েন রোজগরের তাগিদে। শুধুমাত্র নিজের পড়াশোনা নয় তার ভাই বোনের পড়াশোনা ও সংসারে যাবতীয় খরচ সবই তাকে চালাতে হয়। ফাইনাল ইয়ারের পরীক্ষা তার সামনেই রয়েছে তাই পড়াশোনার জন্য একটু বেশি সময় দিচ্ছেন যার ফলে টোটো নিয়ে নিয়মিত বেরোনো হচ্ছে না। তার প্রভাব এসে পড়েছে তাদের সংসারে।
আরও পড়ুন: পঞ্চায়েত সদস্যর বাড়ির পাশের ড্রেনে পড়ে একাধিক ভোটার ও প্যান কার্ড! কী চলছিল? জানুন
দু'বেলা দু'মুঠো কোনরকম ভাবে পেট চালিয়ে জীবন যুদ্ধে লড়াই করে যাচ্ছেন। আগামী দিনের ইচ্ছা পড়াশোনা শিখে সমাজে একজন প্রতিষ্ঠিত মহিলা হওয়ার। মেয়ের বিষয়ে তার মা অঞ্জলি দত্ত জানান, মেয়ে তাদের স্বয়ং লক্ষ্মী। সংসারের যাবতীয় দায় দায়িত্ব তার মেয়ে নিজের কাঁধে তুলে নিয়েছে। বাবার ওষুধ, ভাই বোনের টিউশন খরচ সবই যোগান দিতে হয় তার মেয়েকে। আর্থিক অনটনকে দূরে সরিয়ে রেখে লড়াই করার এক অনন্য উদাহরণ হুগলির ভদ্রেশ্বরে তমা দত্ত। তমার জীবন সংগ্রামের লড়াইকে কুর্নিশ ।
রাহী হালদার