সম্প্রতি লগ্নি আনতে স্পেনে গিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানে গিয়ে সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় ঘোষণা করেছিলেন মেদিনীপুরে তৈরি হবে ইস্পাত কারখানা। কর্মসংস্থান হবে বাংলায়। তা নিয়ে নানা কথা ওঠে। সিঙ্গুর থেকে টাটা বিদায়ের পর আর তেমন বলার মতো কোনও বড় শিল্প রাজ্যে আসেনি বলে অভিযোগ শোনা যায়। সেখানে দাঁড়িয়ে ক্ষুদ্র শিল্প উন্নতি করছে ধীরে ধীরে। হুগলি মোটরস তেমনই ক্ষুদ্র শিল্প। পোলবার সুগন্ধায় দিল্লি রোডের ধারে কারখানায় শ’দুয়েক লোক কাজ করেন। সেই কারখানাতেই তৈরি ই-রিকশা ঘানায় রফতানি হচ্ছে।
advertisement
সংস্থার কর্নধার সেখ নাসিরউদ্দিন জানান, বর্তমানে ব্যাটারিচালিত পরিবেশবান্ধব গাড়ির চাহিদা প্রচুর। তেলের দাম বাড়ায় ই-গাড়ির চাহিদা বেড়েছে। এর বাজারও খুলেছে বিদেশে। মাস দু’য়েক আগে ঘানার মাদিনার সংস্থা গোল্ডেন ওয়েবের প্রতিনিধিরা হুগলি কারখানা দেখতে আসেন। তাঁরা দেখে সন্তোষ প্রকাশ করেন এবং ব্যবসায়ীর সঙ্গে চুক্তি করেন। তাঁরা জানান, আগে চিন থেকে ই-রিকশা নিতেন, কিন্তু তাঁদের গুনগত মান খারাপ হওয়ায় এবার ভারত থেকে ই-রিকশা আমদানি করতে চান। সেই মতো এক কনটেইনার ই-রিকশা ও ই-কার্ড পাঠানো হচ্ছে।
নাসিরউদ্দিন বলেন, ”এর আগে নেপালে ই-রিকশা রফতানি করা হয়েছে।ভারতের প্রায় সব রাজ্যে তাদের তৈরি গাড়ি চলছে। আগামী দিনে ই-রিকশা অন্যান্য দেশে বিক্রি করতে পারলে বিদেশি মুদ্রা আসবে, আরও বেশি মানুষের কাজের সুযোগ তৈরি হবে। এর জন্য সরকার যদি ক্ষুদ্র শিল্পগুলোকে আরও একটু সাহায্য করে, জমি পাওয়া থেকে লোন পাওয়া পর্যন্ত, তাহলে সুবিধা হয়।
রাহী হালদার