উল্লেখ্য,গোঘাট-১ ব্লকের শুনিয়া, নলডুবি, নকুণ্ডা, শ্যাওড়া, কোটা, বালি, শ্যামবল্লভপুর-সহ বিভিন্ন মৌজায় আমন ধানের ক্ষেতে জল ঢুকে গিয়েছে। গোঘাট-২ ব্লকেও সাতবেড়িয়া, শ্রীপুর, মান্দারণ, লালুকা-সহ ৬ -৮টি মৌজার একই অবস্থা। সব ধানক্ষেতগুলি জলের তলায়। কোথাও হাঁটু সমান জল, তো কোথাও আবার কোমর সমান। এমন অবস্থায় আমন ধানের চাষ কীভাবে হবে, তা নিয়ে চিন্তার শেষ নেই কৃষকদের। কার্যত মাথায় হাত পড়েছে তাঁদের।
advertisement
আরও পড়ুন ঃ ম্যাজিকের মতো বদলে যাবে শেওড়াফুলি স্টেশনের রূপ! কী কী চমক থাকছে দেখে নিন
এই বিষয়ে কৃষকরা জানান, বাঁকুড়ার দিক থেকে বৃষ্টির জল বিভিন্ন খাল-বিল দিয়ে হুগলির দিকে ঢুকছে। তাঁদের বক্তব্য, আগে এইসব এলাকায় খাল-বিলগুলি সংস্কার করা হত। কিন্তু এবার তা হয়নি। অনেক খাল-বিলে তো কচুরিপানাও জমে গিয়েছে। এমন অবস্থায় ধান জমিতে জল ঢুকে পড়ায় বড়সড় ক্ষতির আশঙ্কা করছেন গোঘাটের বিস্তীর্ণ এলাকার আমন ধানের চাষিরা।
বিষয়টি নিয়ে শাসকদলের কর্মী শেখ মইদুল ইসলাম স্বীকার করে নিচ্ছেন, খাল-বিলগুলি সংস্কার না হওয়াতেই এই পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। কিন্তু একইসঙ্গে কেন্দ্রের দিকেও আঙুল তুলছেন তিনি। বলছেন, ‘আগে ১০০ দিনের কাজে খাল-বিল সংস্কার হত।
আরও পড়ুন ঃ বৃষ্টির জেরে জমিতে জল, আমন ধানে ব্যাপক ক্ষতির আশঙ্কা!
কিন্তু এখন কেন্দ্র টাকা দেওয়া বন্ধ করে দিয়েছে। অন্যদিকে বিরোধীদল বিজেপির মণ্ডল বক্তব্য ১০০ দিনের কাজে রাজ্য ঠিকঠাক হিসেব না দেওয়াতেই টাকা আটকে রয়েছে। তবে এই জল জমার কারণে যে চাষিরা ব্যাপক ক্ষতির মুখোমুখি হচ্ছেন, সে কথা স্বীকার করে নিয়েছে দুই পক্ষই।
Suvojit Ghosh