স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, পোলবার রাজহাটের বাসিন্দা প্রদীপ বিশ্বাস ১০ মাস আগে বাড়ি তৈরি করেছিলেন। প্রদীপ বর্তমানে আরবে থাকেন। তিনি মাস পাঁচেক আগে বাড়ি ভাড়া দেন বনগাঁর এক ব্যক্তিকে। সেই লোকজন নিয়ে এসে নকল কাফ সিরাপ (ফেনসিডিল) ও ওষুধ তৈরি করছিল। বিখ্যাত ওষুধ কোম্পানির লেবেল নকল করে বটলিং করা হত। সিরাপ তৈরির কাঁচামাল, বটলিং করা, সিল করার মেশিন বাজেয়াপ্ত করা হয়। নকল সিরাপ মূলত বাংলাদেশে পাচার হত বলে জানা গেছে।
advertisement
গাইঘাটা থানা এলাকা থেকে একটি নকল সিরাপ বোঝাই গাড়ি আটক হয় দিন কয়েক আগে। সেখান থেকে গাড়ির ড্রাইভারকে গ্রেফতার করা হয়। সেই সূত্র ধরে এসটিএফ মগড়ার কারখানার খোঁজ পায়। টাস্ক ফোর্স অভিযান চালিয়ে ছয় হাজার বোতল সিরাপ আটক করে। এসটিএফের ইনস্পেক্টর কার্তিক মোহন ঘোষ, জানকী বাগচি, রাহুল পাণ্ডে ও পিনাকি সরকারের নেতৃত্বে চলে এই অভিযান।
পুলিশ সূত্রে খবর, সিমলার এক নামি ওষুধ কোম্পানির লেবেল ব্যবহার করা হত নকল সিরাপ তৈরিতে। হাওড়া থেকে প্লাস্টিকের বোতল ও ছিপি কিনে এনে বোতল জাত করে পেটিতে ভরে পাচার করা হত। এসটিএফ মগরা থানার সহ যোগীতায় গোপনে নজর রাখছিল। কারখানার আশেপাশে কাউকে দেখতে না পেয়ে বাড়ির তালা ভেঙে ভিতরে ঢোকে এসটিএফ। এদিন আড়াই লিটার ক্লোরোফর্মও বাজেয়াপ্ত করে পুলিশ।
রাহী হালদার