মঙ্গলবার চন্দননগর স্ট্যান্ড ঘাটে ভাষা শহিদ মিনারের সামনে গোলাপ ফুল রেখে শ্রদ্ধা জানান এই দলের সদস্যরা। এরপর তাঁরা রওনা দেন ঢাকার উদ্দেশে। তাঁদের লক্ষ্য আগামী ৬ দিনের মধ্যে বাংলাদেশ পৌঁছনোর। ৮ জন সাইক্লিস্টের এই দলকে উৎসাহিত করতে সবুজ পতাকা নেড়ে যাত্রার সূচনা করেন এভারেস্ট জয়ী বঙ্গকন্যা পিয়ালী বসাক।
সিঙ্গুর মহামায়া স্কুলের শিক্ষক শৈবাল বন্দ্যোপাধ্যায় ও তাঁর স্ত্রী মহুয়া বন্দ্যোপাধ্যায়ের ট্রেকিং করতে ভালোবাসেন। সময় পেলেই সাইকেল নিয়ে বেড়িয়েও পড়েন। প্রণব কুমার মাঝি, শ্রীকান্ত মণ্ডল, প্রসেনজিৎ সরকার, রমজান আলি, সত্যব্রত ভাণ্ডারি ওঅঞ্জন কুমার দাসদের নিয়ে তাঁদের মোট আটজনের টিম ঢাকার উদ্দেশ্যে সাইকেল চালিয়ে এগিয়ে যাচ্ছেন। পাঁচদিন সাইকেল চালিয়ে রানাঘাট, গেদে, চুয়াডাঙা হয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করবেন। এরপর কুষ্টিয়া, পাবনা, কাশিনাথপুর, মানিকগঞ্জ হয়ে ঢাকা পৌঁছবেন। সেখানে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন এই আটজন।
advertisement
আরও পড়ুন: জেলায় বেআইনি মদ বিক্রির রমরমা, পুলিশের হানায় ধৃত ১ বিক্রেতা
শৈবাল বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, বাংলাদেশের ঢাকায় শহিদ মিনারে ভাষা শহিদদের শ্রদ্ধা জানানো এবং দুই বাংলার মানুষের সম্পর্ক আরও দৃঢ় করা, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রাখার উদ্দেশ্যে এই যাত্রা। সাইক্লিস্ট দলের একমাত্র মহিলা সদস্য মহুয়া বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, এত দূর সাইকেল চালিয়ে যাওয়ার জন্য আমরা নিয়মিত সাইকেল চালানো অভ্যাস করেছি। গত এক মাস ধরে প্রতিদিন ২৫-৩০ কিলোমিটার করে সাইকেল চালিয়েছি। ঠিকঠাকভাবে যদি আমরা যেতে পারি তাহলে ৬ দিনের মধ্যে আমরা ঢাকায় পৌঁছে যাব। দুই দেশের মেলবন্ধনই আমাদের উদ্দেশ্য।
ফ্ল্যাগ অফ করা এভারেস্ট জয়ী পিয়ালী বসাক বলেন, আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে চন্দননগর থেকে সাইকেল চালিয়ে বাংলাদেশে যাচ্ছেন আটজন। দুই দেশের মধ্যে মৈত্রী এবং সুসম্পর্ক গড়ে তোলা তাঁদের উদ্দেশ্য। ওনাদের দলে একজন মহিলাও আছেন। এই ঘটনাই প্রমাণ করে মহিলারাও কোনও বিষয়ে পিছিয়ে নেই। পুরুষদের সঙ্গে সমানতালে এগিয়ে যেতে পারে। অ্যাডভেঞ্চার স্পোর্টসে আমাদের দেশে অনেক এগিয়ে গেছে। অ্যাডভেঞ্চার স্পোর্টস করা ভাল, কারণ এতে শারীরিক ও মানসিকভাবে শক্তি পাওয়া যায়। এই বিষয়ে সরকারেরও এগিয়ে আসা উচিৎ।
রাহী হালদার