প্রতিমা গড়ার কাজ শুরু হয় দুর্গাপূজার পর থেকেই। ডাক্তার তালুকদার তাঁর রোগী দেখা, পড়ুয়াদের পড়ানো, সমস্ত কাজ সেরে রাতের বেলা থেকে শুরু করেন প্রতিমা গড়ার কাজ। ঠিক দিনের বেলা যেমন নিপুণ হাতে ডাক্তারি করেন, তেমনই রাতেরবেলা দক্ষ শিল্পীদের মতো প্রতিমা গড়ার কাজ করেন। যে হাতে ছুরি-কাঁচি ধরে মুমূর্ষ রোগীদের জীবন দান করেন, ঠিক সেই হাতে খরের উপর মাটি লেপে প্রাণ দান করেন দেবী জগদ্ধাত্রীর।
advertisement
আরও পড়ুন: কালীপুজোর কার্নিভালে ৭টি জায়গার ঐতিহ্যকে তুলে ধরা হল শিলিগুড়ির তরুণ সংঘে
খর বাঁধা, মাটি লাগানো, রং করা, চোখ আঁকা, সবই করেন নিজে হাতে। বাড়ি ফিরতে যত রাতই হোক না কেন প্রতিদিনের কাজের মধ্যে ঠাকুর বানানোটাও বিশেষ কাজ হিসেবে নিয়েছেন তিনি। মানসিকভাবে শান্তিও পান ডাক্তারবাবু।
আরও পড়ুন: কালীঠাকুর বিসর্জনে যেতে চেয়েছিল স্ত্রী, পাল্টা স্বামী যা করল, ভয়ে শিউরে উঠবেন
ডাক্তার তালুকদার জানিয়েছেন, স্কুল জীবন থেকেই তাঁর ঠাকুর বানানোর প্রতি বিশেষ আগ্রহ। ছোটবেলায় খর বেঁধে, তার উপর মাটি লেপে ছোট প্রতিমা তৈরি করতেন। তাঁর বাড়ি এমনই এক শহরে যেখানে জগদ্ধাত্রী পুজো বড় উৎসব হিসেবে গণ্য। তাই ছোট থেকেই নিজের বাড়ির প্রতিমা নিজেই বানিয়ে পুজো করেন তিনি।
ব্যস্ত জীবনের মধ্যে কীভাবে তিনি এই কাজ সম্ভব করেন? উত্তরে ডাক্তারবাবু জানান, পুরোটাই দেবীর কৃপা। মা তাঁর হাতেই তৈরি হতে চান। তাই হয়তো এই কাজ তিনি সম্ভব করতে পারেন। দশমীর দিন তিনি আর বাড়িতে থাকেন না। ঠাকুর ভাসানের সময় চলে যান তাঁর কাজে। নিজের হাতে গড়া ঠাকুরকে ভাসান দিতে মন ভারাক্রান্ত হয়ে পড়ে তাঁর। কিন্তু নাকি এটাই মজা। আবারও এক বছর অপেক্ষার মজা। কারণ, আসছে বছর আবার হবে।
রাহী হালদার