আরও পড়ুন: বাইসনের ভয়ে বাড়ি ছেড়ে পালালো গ্রামের মানুষ
বছর ২২ এর রুবি খাতুনের বাড়ি হুগলির আরামবাগের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের আন্দিমহল্লায়। হঠাৎই রুবির শরীরে রক্তাল্পতা দেখা দেয়। চিকিৎসকের পরামর্শে তাঁকে আরামবাগ মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। হাসপাতালের পক্ষ থেকে জানিয়ে দেওয়া হয় জরুরি ভিত্তিতে রক্ত দিতে হবে, না হলে প্রাণ সংশয় হতে পারে। এরপরই ওই তরুণীর পরিবারের সদস্যরা হন্যে হয়ে রক্তের সন্ধান করতে থাকেন, কিন্তু কোথাওই পাওয়া যায়নি। শেষে বাধ্য হয়ে তরুণীর বাবা মীর শামস যোগাযোগ করেন আরামবাগের ট্রাফিক ওসি সরোজ কুণ্ডুর সঙ্গে। তিনি তখন ওই তরুণীর প্রাণ বাঁচানোর জন্য সিভিক ভলেন্টিয়ার তুহিনশুভ্র হাজরাকে হাসপাতালে গিয়ে রক্তদান করতে বলেন। ওসির পরামর্শ মত ওই সিভিক ভলেন্টিয়ার আরামবাগ মহাকুমা হাসপাতালে গিয়ে রক্ত দিয়ে ওই তরুণীর প্রাণ বাঁচান।
advertisement
সিভিক ভলেন্টিয়ার তুহিন শুভ্র হাজরার এই মানবিক ভূমিকা আপ্লুত অসুস্থ তরুনীর পরিবার। তাঁরা জানান, ওই সিভিক ভলেন্টিয়ার যদি এগিয়ে এসে রক্ত না দিতেন তবে তাঁদের পরিবারের মেয়ের বিপদ হতে পারত।
শুভজিৎ ঘোষ