আর মাত্র হাতে গোনা কটা দিন তারপরই চন্দননগরের জগদ্ধাত্রী পুজো। তারই ব্যস্ততা এখন তুঙ্গে। নাওয়া খাওয়ার সময় নেই বারোয়ারির সদস্যদের। মন্ডপ, প্রতিমা থেকে আলোকসজ্জা সবেতেই চলছে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি। সুষ্ঠ ভাবে যাতে জগদ্ধাত্রী পুজো অনুষ্ঠিত হয় সে বিষয়ে তদপর চন্দননগর পুলিশ কমিশনারেট থেকে চন্দননগর পৌরনিগম আধিকারিকরা। মঙ্গলবার এ বিষয়ে সাংবাদিক বৈঠক করেন চন্দননগর পুরনিগমের মেয়র রাম চক্রবর্তী। সাংবাদিক বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন ডেপুটি মেয়র মুন্না আগরওয়াল, পুর কমিশনার স্বপন কুন্ডু, মেয়র পারিষদ সদস্য শুভেন্দু মুখার্জী।
advertisement
আরও পড়ুনঃ কালীপুজোর আগের রাতেই ভয়াবহ আগুন ভদ্রেশ্বরে! মৃত্যু এক বৃদ্ধার
এদিন মেয়র বলেন, চন্দনগরের জগদ্ধাত্রী পূজো কমিটিগুলিকে আরও উৎসাহিত করতে চন্দননগর শ্রী জগদ্ধাত্রী পুজো সম্মাননা প্রদান করা হবে পুরনিগমের তরফে। বিগত দুই বছর করোনা সংক্রমনের বাড়বাড়ন্ত থাকায় এই পুরস্কার প্রদান করা হয়নি। তবে এবছর করোনা চোখ রাঙানি সেভাবে না থাকায় আবার এই পুরস্কার প্রদান করা হবে। এ বছর এই পুরস্কার আরও আকর্ষণীয় হবে বলে জানান মেয়র। চন্দননগর শ্রী পুরস্কারে থাকবে সেরার সেরা, সেরা প্রতিমার মুখশ্রী, সেরা মণ্ডপসজ্জা, সেরা প্রতিমার সাজসজ্জা, সেরা আলোকসজ্জা, সেরা পরিবেশ, সেরা শোভাযাত্রা।
আরও পড়ুনঃ ডানকুনিতে পণ্যবাহী গাড়ির ধাক্কায় মৃত্যু কোল ইন্ডিয়ার এক কর্মচারীর
পাশাপাশি তিনি জানান, চন্দননগর জগদ্ধাত্রী পুজো সেন্ট্রাল কমিটির আওতায় এবং পুরনিগমের অন্তর্গত ১৩৬ টি পুজো কমিটি রয়েছে। যার মধ্যে ২৯ টি পুজো কমিটি জুবিলী রয়েছে। এবং শোভাযাত্রায় অংশগ্রহণ করবে পুরনিগমের অন্তর্গত ৫১ টি পুজো কমিটি। তার মধ্যে জুবিলী রয়েছে ২৬ টি পুজো কমিটির। সমস্ত পুজো কমিটিকে পুরনিগমের তরফে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে প্লাস্টিক জাত কোনও উপকরণ যাতে ব্যবহার না করা হয়। ইতিমধ্যেই চন্দননগরের শোভাযাত্রার যে রুট সেই রাস্তা সংস্কারের কাজ শুরু করেছে পুরনিগম। দর্শনার্থীদের সুবিধার্থে ১৫ টি বায়োটয়লেট বসানো চন্দননগর বিভিন্ন জায়গায়। পুজোর দিনগুলিতে ২৪ ঘন্টার জন্য কন্ট্রোল রুম খোলা হচ্ছে চন্দননগর পুরনিগমে।
Rahi Haldar