আরও পড়ুন: নতুন প্রজন্মের ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্যে বিজ্ঞানমনস্কতা বাড়াতে উদ্যোগ
হুগলির কোন্নগর নবগ্রামের বাসিন্দা গৌতম চট্টোপাধ্যায় ছোটবেলা থেকেই মেধাবী। নবগ্রাম বিদ্যাপীঠ থেকে স্কুল জীবনের পড়াশোনা শেষ করে শিবপুর বিই কলেজে ইলেকট্রনিক্স নিয়ে স্নাতকোত্তার করেন। তার পরে সেখান থেকে আমেরিকার পাড়ি দেন ডক্টরেট করতে। শেষ ১২ বছর ধরে তিনি কর্মতর ন্যাশনাল এয়ারনটিক্স স্পেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন বা নাসা-তে। বাঙালি এই বিজ্ঞানীর সাফল্যে খুশি তাঁর পরিবার পরিজন থেকে এলাকার মানুষ সকলে। নবগ্রামের ৮ নম্বর শ্যামাপ্রসাদ রোডের বাড়িতে চারবোন ও দুই ভাই মিলে এক কামরার ঘরেই বড় হয়েছেন তাঁরা।
advertisement
নাসা প্রতিবছর মহাকাশ বিজ্ঞানের সঙ্গে যুক্ত বিভিন্ন বিজ্ঞানীদের বিশেষভাবে সম্মানিত করে থাকে। সেই মতো এই বছর নতুন প্রজন্মের তরুণ-তরুণীদের বিজ্ঞানের প্রতি উদ্বুদ্ধ করার জন্য এই বিশেষ লিডারশিপ অ্যাওয়ার্ড দেওয়া হয়। ছোট থেকেই অভাব অনটনের মধ্যে বড় হয়ে ওঠেন গৌতমবাবু। তবে সনামধন্য বিজ্ঞানী হওয়ার পরেও একফোঁটা বদলায়নি তাঁর জীবন যাপন। এখনও বাড়ি এলে পাড়ার বন্ধুর দোকানেই আড্ডা দিতে দেখা যায় তাঁকে।
এই বিষয়ে গৌতম চট্টোপাধ্যায়ের ভাই কৌশিক জানান, দু’দিন আগেই দাদার সঙ্গে তাঁর কথা হয়েছে। জানিয়েছেন ডিসেম্বরে বাড়ি ফিরবেন। প্রতিদিন সময় পেলেই বাড়িতে ফোন করে তিনি খোঁজ নেন বাড়ির সবাই কেমন আছেন। তিনি আরও বলেন, শুধুমাত্র পড়াশোনায় নয়, খেলাধুলো, গান-বাজনা এমনকি শিল্পের প্রতিও বিশেষ আগ্রহ রয়েছে গৌতম চট্টোপাধ্যায়ের। ছোটবেলায় ঝুলন সাজানো থেকে মাটির প্রতিমা তৈরি করা সব কিছুই করছেন নিজের হাতে। ভাই কৌশিক ও পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের মতে, গৌতম চট্টোপাধ্যায় শুধুমাত্র তাঁদের গর্ব নয়, গোটা পশ্চিমবঙ্গ তথা দেশের গর্ব।
রাহী হালদার