আরও পড়ুন: বহিরাগতদের দাদাগিরি! ৩০০ বছরের হেরিটেজ ভেঙে গুঁড়িয়ে দিল বর্ধমানে
স্কুল মানেই শুধু ক্লাসরুমের পড়াশোনা নয়। ছেলেমেয়েদের নিয়ম-শৃঙ্খলার বোধ স্কুলের হাত ধরেই গড়ে ওঠে। তা ক্লাসরুম ছাড়িয়ে স্কুলের খেলার মাঠ, প্রার্থনার লাইন, ক্লাস থেকে বেরিয়ে শৌচালয়ে যাওয়া সব কিছুর মধ্য দিয়ে পরিলক্ষিত হয়। সুকান্তনগর অনুকূলচন্দ্র শিক্ষাশ্রমে গেলে সেই অনুশাসন ও শৃঙ্খলার ছাপ পরতে পরতে নজরে পড়বে। স্কুলের সিঁড়ির প্রতিটি ধাপে জীবন গঠনমূলক নানান বার্তা লেখা। প্রতিটা দেওয়ালে লেখা বিভিন্ন মনীষীর বাণী। স্কুল কম্পাউন্ড পরিষ্কার রাখার জন্য ক্লাসগুলোর মধ্যে প্রতি মাসে প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। সেরা ক্লাসকে দেওয়া হয় পুরস্কার। রাজ্য সরকারের নির্মল স্কুল, মিড ডে মিল থেকে শুরু করে একাধিক পুরস্কারও পেয়েছে হুগলির চুঁচুড়ার এই স্কুল।
advertisement
এখানকার ছাত্র-ছাত্রীদের পড়াশোনার পাশাপাশি আনুষঙ্গিক অন্যান্য শিক্ষাও দেওয়া হয়। স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য আছে নাচ-গান, আবৃত্তি শেখানোর ব্যবস্থা। একই সঙ্গে তাদের শারীরচর্চাজন্য রয়েছে জিম। স্কুলের মিড মিল ঘরে গিয়েও অবাক হতে হয়। যেমন পরিষ্কার থালা বাসন তেমনই মিড ডে মিল দিদিরা পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন পোশাক পরে রান্না করছেন। যে ছবি অন্যত্র প্রায় দেখতে পাওয়া যায় না। স্কুল প্রাঙ্গনে সবুজ বাঁচানোর বার্তা দেওয়া আছে। এই স্কুলের বাথরুম দেখলে আপনি অবাক হয়ে যাবেন। হয়তো আপনার বাড়ির বাথরুম এতোটা পরিচ্ছন্ন নয়!
স্কুলের এই ব্যবস্থাপনা প্রসঙ্গে সুকান্তনগর অনুকূলচন্দ্র শিক্ষাশ্রমের প্রধান শিক্ষক হাসমত আলি জানান, একাধিক রাজ্য স্তরের প্রতিযোগিতায় তাঁদের স্কুল জয়ী হয়ে পুরস্কৃত হয়েছে। এই বছর যামিনী রায় অ্যাওয়ার্ডের জন্যও তাঁদের স্কুল নমিনেটেড হয়েছে। এই সাফল্যই স্কুলের শিক্ষক থেকে ছাত্র-ছাত্রী সকলকে উজ্জীবিত করে।
রাহী হালদার