ইতিহাস বিশেষজ্ঞ দেবাশিস শেঠের কাছ থেকে জানা যায়, দিল্লিশ্বরের প্রধান সেনাপতি অম্বররাজ মানসিংহের পুত্র কুমার জগৎ সিং বিষ্ণুপুর থেকে গড় মান্দারণ এর যাত্রাকালে ঝড়ের কবলে পড়ে শৈলেশ্বর মহাদেবের মন্দিরে আশ্রয় নেন। সেখানে ঘটনাচক্রে মান্দারণের দুর্গাধিপতি জয়ধর সিং-এর একমাত্র পুত্র মহারাজ বীরেন্দ্র সিংহের স্ত্রী বিমলা ও তার কন্যা দুর্গেশনন্দিনীর সঙ্গে তার সাক্ষাৎ হয়। তারপর থেকেই নানা ইতিহাসের সাক্ষ্য রয়েছে গড় মান্দারণ।
advertisement
এই ইতিহাসের উপাদান দিয়েই সাহিত্যসম্রাট রচনা করে ছিলেন তার বিখ্যাত উপন্যাস দুর্গেশনন্দিনী। ইতিহাস ও সাহিত্যিক মেলবন্ধনে এই গড় কেল্লা কালের নিয়মে ধ্বংস হয়ে যায়। একসময় পরিত্যক্ত হয়ে পড়ে। বর্তমানে সরকারের উদ্যোগে সাজিয়ে তোলা হলেও সেটি একটি বিনোদন ক্ষেত্র হয়ে উঠছে। কিন্তু না আছে গড়, না আছে কেল্লা। হারিয়ে গেছে সেই দুর্গেশনন্দিনীর ইতিহাস।
আরও পড়ুনঃ Exclusive: সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের স্কুলের জমি দখলের চেষ্টা, হুমকি নিরাপত্তারক্ষীদের, থানায় অভিযোগ দায়ের
তবুও কোথাও কোথাও ছোট ছোট টুকরো বেঁচে আছে ইতিহাসের সাক্ষী হিসেবে। হারিয়ে যাওয়া ইতিহাসের শেষ অংশের সাক্ষী থাকতে গড় মান্দারণ এলেও আপনার ভাল লাগবে। কিছুটা ইতিহাস আর সাহিত্যের গন্ধ গায়ে মেখে কাটিয়ে যেতে পারেন অবসর।
Suvojit Ghosh