গঙ্গায় গাড়ি ভেঙে ভেসে আসতে দেখে সাধারণ মানুষজন আতঙ্কিত হন গাড়ির ভেতরে কেউ আছেন কিনা তাই ভেবে। স্থানীয় কিছু জেলেদেরকে নামানো হয় গাড়ির মধ্যে কেউ আছে কিনা তা দেখার জন্য। জেলেরা নৌকা নিয়ে গাড়ির কাছে গিয়ে পর্যবেক্ষণ করে জানান গাড়িটি ফাঁকা গাড়ির মধ্যে কেউ নেই। তবে গাড়িটি কীভাবে গঙ্গার জলে ভেসে এল তাই নিয়েই চিন্তিত হয়ে পড়েন স্থানীয় বাসিন্দা থেকে শুরু করে প্রশাসনের আধিকারিকরা।
advertisement
আরও পড়ুন: গঙ্গায় ভাসছে মৃতদেহ, হুগলিতে তুমুল শোরগোল
স্থানীয় সূত্রে খবর, কোন্নগরের বাটা সংলগ্ন এলাকার গঙ্গার তীরবর্তী অবস্তিত রয়েছে একটি আবাসন। সেই আবাসনের জানালা থেকেই প্রথম এক মহিলা দেখতে পান গঙ্গার মধ্যে কিছু একটা বড় জিনিস ভেসে আসছে। তৎক্ষণাত তিনি বেরিয়ে আসেন দেখতে, তার পর তিনি যা দেখলেন তা তিনি নিজে কোনওদিন কল্পনাও করতে পারেননি। কালো রঙের বড় একটি সিডান গাড়ি ভেসে আসছে গঙ্গা দিয়ে। হঠাৎ এই ভাসতে ভাসতে গাড়িতে আটকে যায় ঠিক তাদের আবাসনের সামনের গঙ্গায়। আবাসনের অন্যান্য বাসিন্দারাও একত্রিত হয় গঙ্গায় ভাসমান গাড়ির ওপর নজর রাখার জন্য।
আরও পড়ুন: এসে গেল রাখি, হুগলিতে তৈরি বিশেষ সন্দেশ! না খেলে বড় মিস
স্থানীয় এক প্রত্যক্ষদর্শী জানান, তিনি গঙ্গার পাড়ে এসেছিলেন হাওয়া খেতে। এসে দেখেন গঙ্গার মধ্যে একটি গাড়ি ভেসে এসেছে। গাড়ির দুদিকের ইন্ডিকেটর এবং সামনের আলো জ্বলছে। তিনি আরও বলেন গঙ্গা দিয়ে অনেক কিছু ভেসে আসতে দেখেছেন কিন্তু কোনওদিনও গাড়ি ভেসে আসতে দেখেননি। গাড়ি ভেসে আসার কিনারা হয় যখন ঘটনাস্থলে এসে পৌঁছান কোন্নগর পৌরসভার পৌরপ্রধান স্বপন দাস। তিনি জানান, সেটি পৌরসভারই গাড়ি। গাড়িটি রাখা থাকতো গঙ্গার পাশেই পৌরসভার গ্যারেজে। কিন্তু গাড়িটি কীভাবে গঙ্গায় চলে এলো তা নিয়ে তাঁর মনেও প্রশ্ন থেকে গেছে। তিনি ও তাজ্জব গাড়ি কীভাবে গঙ্গায় ভেসে গেল। পৌরপ্রধানের প্রাথমিক অনুমান, গাড়ি রাখার জায়গার পিছনের দিকটি ঢালু হয়ে গঙ্গায় নেমেছে। বৃষ্টি হওয়ার দরুন জায়গাটি পিছল হয়ে পড়ে।সারা বিকেল জুড়ে যে পরিমাণ ঝড়ো হাওয়া দিয়েছে সেই কারণেই গাড়িটি গড়িয়ে গঙ্গায় এসে পড়ে। অথবা কোন অসাধু ব্যক্তি বদমাইশি করে গাড়িটিকে ঠেলে জলে ফেলে দিয়েছে। তিনি আরও জানান,গঙ্গা থেকে গাড়ি উদ্ধার করার জন্য ক্রেন নিয়ে আসা হচ্ছে।
রাহী হালদার