মাত্র ২০ বছর বয়সী গোপাল ভিনরাজ্যে যাচ্ছিল পরিযায়ী শ্রমিকের কাজ করতে। জেনারেল কামরায় বসেই রওনা দিচ্ছিলেন কর্মস্থলের উদ্দেশ্যে। পথেই ঘটে সেই ভয়াবহ ট্রেন দুর্ঘটনা। দুর্ঘটনার খবর পাওয়ার পর থেকেই বাড়ির লোক অনেক খোঁজাখুঁজি শুরু করে। অবশেষে গোপাল হেমব্রমের মা তাঁর রক্তের ডিএনএ পরীক্ষা করেতে পাঠান ওড়িশার এইমস হাসপাতালে। ডিএনএ-র সঙ্গে হাসপাতালের মর্গে থাকা এক মৃতদেহ ডিএনএ ম্যাচ করে। এভাবেই মৃত ছেলের সনাক্তকরণ করেন তাঁর পরিবার।
advertisement
আরও পড়ুন– বর্ষা আসতেই বাড়ছে উপদ্রব ! ঘুমন্ত অবস্থায় সাপের কামড়ে মৃত্যু এক যুবকের
অনেক ছোট বয়স থেকেই কাজের জন্য ভিন রাজ্যে পাড়ি দিতে হতো গোপাল হেমব্রমকে। এবারও বাড়ি থেকে কাজের জন্য রওনা দিয়েছিলেন ৷ কথা ছিল পুজোর আগে এসে বাড়ি ফিরে আসবে। তবে বাড়ি ফেরা আর হয়নি। অভিশপ্ত সেই রাত কেড়ে নিয়েছে গোপালের মতো আরও শত শত প্রাণ।
হরিপাল বিডিও অফিসে করমণ্ডল এক্সপ্রেসে নিহত হরিপালের ওলিপুর অঞ্চলের সোনাটিকরী গ্রামের দীর্ঘদিন নিখোঁজ গোপাল হেমব্রমের মা-এর হাতে তুলে দেওয়া হয় ক্ষতিপূরণের চেক। এই চেক প্রদানের সময় উপস্থিত ছিলেন হরিপালের বিধায়ক ডাঃ করবী মান্না, এসডিও চন্দননগর ও হরিপালের বিডিও জয়ন্ত সাহা।