কিন্তু অভিনয়ের রঙ্গ মঞ্চ থেকে বাস্তবের জীবনেও নেমে আসে শোকের ছায়া। ঠিক এক দিন বাদে ২৭ বৈশাখ, বৃহস্পতিবার দুপুরে ভাগীরথীতে স্নান করতে আসে শুভম। তার বাবা পেশায় টোটো চালক কমল দাসের কথা অনুযায়ী, মেয়ের কাছ থেকে তিনি জানতে পারেন, ভাগীরথী ঘাটে স্নান করতে গিয়ে ভাইকে পাওয়া যাচ্ছে না, দিনভর খোঁজ তল্লাশি করেও এখনও পর্যন্ত নিখোঁজ রয়েছে সে।
advertisement
আরও পড়ুন: বাবার মৃত্যুর প্রতিশোধ নিতে সৎ মায়ের স্বামীকে হত্যা যুবকের! চাঞ্চল্য বীরপাড়ায়
ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে এলাকা জুড়ে নেমে আসে গভীর শোকের ছায়া। তবে এই ঘটনাকে নিছক দুর্ঘটনা বলতে নারাজ প্রতিবেশীরা । কাকতালীয়ভাবে হলেও বছর চারেক আগে এমনই এক নাটকে অভিনয় করেছিলেন দেব দাস নামে এক নাবালক। সেই নাটকেও তার চরিত্রের মৃত্যু দেখানো হয়েছিল। ঠিক এক দিন বাদে পরিবারের সঙ্গে বর্ধমানের বেড়াতে যায় সে। ২৭ বৈশাখ সেদিনও ছিল বৃহস্পতিবার। আর ঠিক দুপুরেই দামোদর নদীর জলে সলিল সমাধি ঘটে তার।
দু’বছর আগে একই মঞ্চে অভিনয় করেছিলেন ওই এলাকারি মেয়ে দিয়া মণ্ডল। তিনিও ঠিক একদিন বাদে অর্থাৎ ২৭ তারিখ তাঁর বাবার সঙ্গে কৃষ্ণনগরে মোটরবাইক চেপে যাচ্ছিলেন। অভিশপ্ত দুপুরে বৃহস্পতিবার প্রায় একই সময়ে পথ দুর্ঘটনায় মারা যান ওই মেয়ে।
এলাকার মানু্ষের মনে প্রশ্ন, তবে কি নাটকের চরিত্রই জড়িয়ে রয়েছে কোন অঘোষিত রহস্য? তবে বিজ্ঞান মনস্ক এক ব্যক্তি এই বিষয়ে বলেছেন, “এটা কোন অলৌকিক ঘটনা নয়। পৃথিবীতে একই দিনে অনেক মানুষ জন্মাচ্ছে অনেক মানুষের মৃত্যু হচ্ছে। এই মৃত্যুতে আমরা দুঃখ প্রকাশ করছি। কিন্তু এই মৃত্যুর মধ্যে কোন অলৌকিক ঘটনা নেই।” কিন্তু চার বছরে তিন তিনটি অনভিপ্রেত আকস্মিক মৃত্যু ঘিরে রহস্য কিছুতেই পিছু ছাড়ছে না গুপ্তিপাড়ার বাসিন্দাদের।
রাহী হালদার