তবে এই আম পাকা নয়। কারণ এখন মালদহের আম পাকার সময় হয়নি।উদ্যান পালন দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, আগামী মে মাসের মাঝামাঝি থেকে মালদহে আম পাকবে। কিন্তু এখন যে সমস্ত আম বিক্রি হচ্ছে সেগুলো মূলত আচারের জন্য। তবে এই আমের চাহিদা ব্যাপক রয়েছে। সব আম এখন বিক্রি হচ্ছে না। বর্তমানে মালদহ জেলা জুড়ে চলছে প্রচন্ড তাপপ্রবাহ। এই কারণে বাগানে অনেক আম ঝরে পড়ছে।
advertisement
আরও পড়ুনঃ সূর্যগ্রহণে হনুমানজির আরাধনার আর 'এই' কাজ অবশ্যই করুন, কুপ্রভাব ছুঁতে পারবে না
জলের অভাব শুকিয়ে ঝরে যাচ্ছে আম। ঝরে পড়ে থাকা আম কুড়িয়ে জমা করছে আশেপাশের কিশোর কিশোরীরা। বাগানে পরে থাকা আম কুড়িয়ে সেগুলিকে কেটে বিক্রি করছে। বাগানে পড়ে থাকা আম কুড়িয়ে কেটেই বিক্রি করতে হচ্ছে। সকলেই এই আম কিনছেন না। জেলায় বেশ কিছু ব্যবসায়ী এই আম ভিন রাজ্যে বিক্রি করেন। সেখানে এই আমের আচার হয়। বাগান থেকে ব্যবসায়ীরা আম কিনে সেগুলি একত্রিত করে লবন দিয়ে রাখেন। তারপর সেগুলো ভিন রাজ্যের আচার কোম্পানি গুলোতে পাঠানো হয়।
আরও পড়ুনঃ সূর্যগ্রহণে ঠিক কী করা উচিত? বাঁকুড়ার জ্যোতিষ গ্রাম কী বলছে? জানুন
সুশান্ত মণ্ডল বলেন, এই আম আমরা বাইরে পাঠাব। বাগান থেকে কুড়িয়ে এই আম আমরা কিনছি। ঝরে পড়া আম তাই তিন টাকা কেজি হিসাবে কিনছি। এগুলি মূলত আচার করার জন্যই ব্যবহার করা হবে।ছোট থেকেই বিক্রি হয় মালদহের আম। শুধু পাকা আম বাইরে যায় না। কচি ছোট মালদহের আমের কদর রয়েছে বাইরে। এখন থেকেই শুরু মালদহের আম ভিন রাজ্যে পাঠানো। আগামীতে কাঁচা পাকা সব ধরণের আম পাঠানো হবে। বর্তমানে বাগানে কুড়ানো আম বিক্রি করেই আর্থিক ভাবে লাভবান হচ্ছেন আশেপাশের বাসিন্দারা। তবে এই মুনাফা বাগান মালিকদের নয়। বাগানের আশেপাশের গ্রামের মুলত খুদেরা আম কুড়িয়ে বিক্রি করছে। প্রতিদিন গড়ে ২০০ টাকা থেকে ৩০০ টাকা পর্যন্ত রোজগার হচ্ছে।
হরষিত সিংহ





