প্রসঙ্গত, এবছর পাট চাষের সময় নানা বিড়ম্বনার শিকার হন চাষিরা। প্রথমত, আবাদের সময় বৃষ্টিপাত না হওয়ায় প্রবল খরা থাকায় পাটগাছ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। অন্যদিকে, পাট কাটার সময় জলের অভাবে অনেক কৃষককে পাট জাগ দিতে তিন থেকে পাঁচ কিলোমিটার দূরে যেতে হয়েছে। এমনকি, তাঁদের অতিরিক্ত চার হাজার থেকে পাঁচ হাজার টাকা খরচ করে জল কিনে নিয়ে পাট জাগ দিতে হয়েছে।
advertisement
আরও পড়ুন: সাতসকালে করলা নদীর ধারে একী দৃশ্য! ঝোপে আটকে তরতাজা যুবকের দেহ
পাশাপাশি, এর বাইরে শ্রমিকের মজুরি, বীজ, কীটনাশক, সারের দাম বেড়েছে। সব মিলিয়ে পাটচাষিরা জানাচ্ছেন, গতবারের তুলনায় এবার প্রতি বিঘায় অন্তত পাঁচ হাজার টাকা বেশি খরচ হয়েছে তাঁদের।
পাট চাষিরা বলছেন, “বিগত বছর প্রতি মণ পাট ১ হাজার ৫০০ থেকে ২ হাজার টাকায় বিক্রি হয়েছে। চলতি বছরে বাজারে ওঠা নতুন পাট ১ হাজার থেকে ১ হাজার ৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। পাটের দাম নিয়ে দুশ্চিন্তায় চাষি বন্ধুরা। পাটের দাম কমতে কমতে ১ হাজার ৪০ এসে থেকেছে। এমত অবস্থায় তাঁদের উৎপাদন খরচ তুলতে বেগ পেতে হচ্ছে।”
আরও পড়ুন: ঠাকুরঘরে কখনওই রাখবেন না এই ধাতুর বাসন! সংসারে পড়বে কুপ্রভাব, আসবে দারিদ্র
বিগত বছরের অন্তত কয়েক হাজার মণ পাট আছে। এতে ব্যবসায়ীরা পাট কেনায় আগ্রহ দেখাচ্ছেন কম। তা ছাড়া, দু-তিন সপ্তাহ আগে বাজারে পাটের সরবরাহ কম ছিল। তাই পাটের দাম কিছুটা বেশি ছিল। এখন বাজারে পাটের সরবরাহ বাড়ায় দাম কমেছে।
পাট চাষিরা ক্ষোভপ্রকাশ করে বলেন, ‘‘এবার পাটের আবাদে খরচ বেড়েছে। অথচ দাম পাওয়া যাচ্ছে না। এইরকম চলতে থাকলে সামনের বছর আর পাটের আবাদ করা সম্ভব হবে কিনা, সন্দেহ।’’
জেলার প্রায় বাজারে দেখা গেছে, বাজারে প্রচুর পাট। বেশির ভাগ পাট গড়ে এক হাজার টাকা মণে বিক্রি হচ্ছে। কোনও কোনও পাট চাষিকে পাট বিক্রি না করে বিষণ্ণ মনে বাড়ি ফিরতে দেখা গেছে।
সুস্মিতা গোস্বামী