বালুরঘাট পুরসভার ১৩ নম্বর ওয়ার্ডে বাড়ি সুমন দে’র। ২০২০ সালে স্নাতক হন। আপাতত টিউশনি করিয়ে সামান্য কিছু টাকা রোজগার করেন। লক্ষ্য সরকারি চাকরি পাওয়া। কিন্তু বন্ধু-বান্ধবরা যখন খেলাধুলো, ঘোরাফেরা করছে তখন সুমন বিধৃত হয়েছেন নিজেকে প্রায় এক ঘরে করে নিতে। দুই কিডনি অকেজো হয়ে পড়ায় তাঁর গোটা জীবনটাই বদলে গিয়েছে।
advertisement
আরও পড়ুন: ২৪ ঘণ্টার মধ্যে প্রাক্তনীদের হস্টেল খালি করতে হবে, যাদবপুরকাণ্ডে নির্দেশ হাই কোর্টের!
২০২১ সালের মাঝামাঝি হঠাৎ গোটা জগৎটাই বদলে যায় এই যুবকের। ধরা পড়ে কিডনির অসুখ৷ প্রবল রক্তচাপ থেকে কিডনি অনেকটাই ক্ষতিগ্রস্ত হয়। কিডনির অবস্থা খারাপ জানতে পেরে ছেলেকে নিয়ে বেঙ্গালুরুতে চিকিৎসা করতে চলে যান বাবা সুশান্ত দে। সেখানে চিকিৎসকরা সবরকম পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর জানান, সুমনের দুটি কিডনিই বিকল হয়ে গিয়েছে৷ ফলে অন্তত একটি কিডনি প্রতিস্থাপন করাতেই হবে, না হলে চিকিৎসা সম্ভব নয়।
এরপর সুমন দে’র সরকারি চাকরি পাওয়ার লড়াই বদলে গিয়ে বেঁচে থাকার লড়াইয়ে পরিণত হয়। ঘরের মধ্যেই আবদ্ধ করে নিয়েছেন নিজেকে৷ সপ্তাহে একদিন রবিবার পাড়াতেই একটু ঘোরাফেরা করেন। বাকি ছয় দিন বাড়ি থেকে বের হন না। বাইরের কোনও খাবার খাওয়া বারণ। বর্তমানে সবকিছু নিয়ম মেনে চলতে হয়। জলও মেপে খেতে হয়। বর্তমানে ক্রিয়েটিনিন ১৩ পেরিয়ে গেছে৷
এদিকে পানের দোকান করে কোনরকমে সংসার চালান সুমনের বাবা সুশান্ত দে। ছেলের চিকিৎসা করাতে গিয়ে সঞ্চয়ের সব টাকা শেষ হয়ে গেছে। বাবা-মায়ের কাতর আবেদন, ছেলের জীবন বাঁচাতে কোনও সহৃদয় ব্যক্তি এগিয়ে আসুন। আর্থিক সহায়তার পাশাপাশি তাঁদের ছেলেকে একটা কিডনি দান করুক। এই আবেদন নিয়ে বালুরঘাট শহরে দুয়ারে দুয়ারে ঘুরছে অসহায় পরিবার।
সুস্মিতা গোস্বামী