তবে, প্রশ্ন উঠছে ১ কোটি ১২ লক্ষ টাকা ব্যয় করে যে প্রকল্প তৈরি করা হল সেই প্রকল্পের বাস্তবায়নে সমস্যা কোথায়? প্রসঙ্গত, দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার কুমারগঞ্জের বন্দর এলাকায় এই হস্টেল নবছর আগে তৈরি হয়েছে। কিন্তু আজ পর্যন্ত কেউ না আসায় তা দূর থেকে দেখলে ভুতুড়ে বাড়ি ছাড়া আর কিছুই মনে হয় না। হস্টেলের চারিদিক ঘিরে ফেলেছে জঙ্গলে। হস্টেল লাগোয়া মাঠে বড় বড় জঙ্গল গজিয়ে উঠেছে। ছাত্রী যাতায়াত তো দূরের কথা দিনের বেলা পুরুষ মানুষও ঢুকতেও ভয় পায় হস্টেল এলাকায়। জেলাশাসক অবশ্য বলেছেন,”নতুন করে প্রপোজাল পাঠানো হয়েছে সংখ্যালঘু উন্নয়ন দফতরের কাছে এবং আগামী কয়েক মাসের মধ্যেই সমস্যার সমাধান হবে।”
advertisement
আরও পড়ুন:হাতে লেখা নয়! চালু ই প্রেসক্রিপশন,আরও বেশি সুবিধা রোগীদের
জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানা যায়, এলাকার এক বাসিন্দা ২৫ শতক জায়গা দান করেছিলেন এই ছাত্রী আবাসটা গড়ে তোলার জন্য। কুমারগঞ্জের তৎকালীন বিধায়িকা মাহমুদা বেগমের উদ্যোগে ২০১২ সালে কাজ শুরু হয়ে দু বছরে তা সম্পূর্ণ হয়ে যায়। প্রায় ২০০ শয্যা বিশিষ্ট এই হস্টেলে কোনদিনই কোনও ছাত্রী আসেনি। তবে, উচ্চ শিক্ষার সঙ্গে যুক্ত ছাত্রীদের জন্য এই হস্টেল তৈরি করা হয়েছিল। অথচ কুমারগঞ্জে যে কলেজ শুরু করেছে রাজ্য সরকার সেখানে ছাত্র-ছাত্রী ভর্তির হার অত্যন্ত কম, যারা ভর্তি হন তারাও স্থানীয়। তাদের জন্য হস্টেলে থাকার প্রয়োজন হয় না। ফলে যে উদ্দেশ্যে হস্টেল তৈরি তা বাস্তবায়িত করা যায়নি।
সুস্মিতা গোস্বামী