প্রসঙ্গত, এ বছর এলাকার প্রায় কয়েক জন কৃষক তাঁদের নিজস্ব জমিতে অসময়ে পটল চাষ করে তাক লাগিয়েছেন। তবে বাজারদর যদি ভাল থাকে তাহলে প্রায় কয়েক লক্ষ টাকা উপার্জন করবেন বলে আশা করছেন স্থানীয় কৃষকেরা।
আরও পড়ুনঃ ঘূর্ণিঝড়ের জেরে ক’দিন বৃষ্টি? তারপরই কি জাঁকিয়ে শীত? কী বলছে হাওয়া অফিস
advertisement
এমনকি শুধু জমির মালিকরাই নয়, এই পটল খেতে কাজ করে গ্রামীন মহিলারাও দৈনিক মজুরি পেয়ে সাবলম্বী হচ্ছেন। একটি গাছ লাগানোর দের মাসের মধ্যে ফুল ও ফল দুমাসের মধ্যে বাজারে বিক্রির উপযোগী হচ্ছে।
পটল চাষি বলেন, গ্রামের দু একজনের দেখাদেখি প্রায় কুড়ি পঁচিশ জন কৃষক এখন এই পটল চাষের সঙ্গে যুক্ত হয়েছেন। মাচা তৈরি করে তাঁরা সবাই পটল চাষ করছে। অসময়ে পটল চাষ করে খরচের চেয়ে বিক্রির লাভের পরিমানটা যথেষ্টই পাওয়া যায়। তাই গ্রীষ্মকালীন এই সবজির চাষ অসময়ে করা হচ্ছে। পাশাপাশি, এই সময়ে ভাল মুনাফা পাওয়া যায়।
স্থানীয় কৃষকদের দাবি, কৃষি দফতরের পক্ষ থেকে অসময়ে শুধুমাত্র পটল নয়, অন্যান্য সবজি চাষ করার বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেওয়ার পাশাপাশি উৎসাহ প্রদান করলে কৃষকরা অনেকটাই লাভবান হবে। অনেক সময় দেখা যায় সঠিক প্রশিক্ষণের অভাবে কৃষকদের প্রচেষ্টা থাকলেও চাষ করতে গেলে ক্ষতির সম্মুখীন হতে হচ্ছে। সেই কারণে অসমে চাষবাস করতে জেলার বিভিন্ন প্রান্তের কৃষকরা একটু সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছেন।
স্থানীয় কৃষকদের পক্ষ থেকে জানা যায়, গ্রীষ্মকালীন ফসল হবার কারণে এই ফসল চাষ করতে এই সময়ে প্রথম অবস্থায় মাটি তৈরি, সার, বিষ সহ অন্যান্য প্রয়োগের ক্ষেত্রে একটু সমস্যার সম্মুখীন হলেও, পরবর্তী সময়ে সেই সমস্যা মিটে যায়।
সুস্মিতা গোস্বামী