মঙ্গলবার সন্ধ্যা নাগাদ বালুরঘাটে তাদের গ্রামের বাড়িতে ফিরিয়ে আনলজেলা প্রশাসন। হাওড়া বালুরঘাট এক্সপ্রেস ট্রেনে বিশেষ ব্যবস্থা করে নিয়ে আসা হয় বালুরঘাট থানার অমৃত খন্ড গ্রাম পঞ্চায়েত হাঁসইল কাসিম্বি গ্রামে। এই দুই পরিযায়ী শ্রমিক সম্পর্কে জামাইবাবু ও শ্যালক। পরিযায়ী শ্রমিকের কাজ করতে গিয়েছিলেন বেঙ্গালুরু। সেখান থেকে কাজ করে ফিরছিলেন যশবন্তপুর এক্সপ্রেসে করে। ছিলেন জেনারেল কম্পার্টমেন্টে। দুজনের মধ্যে একজনের পায়ে আঘাত হয়েছে, অন্যজনের হাত ভেঙেছে।
advertisement
আরও পড়ুন – Tasty Chop: মাত্র পাঁচ টাকায় হেলেঞ্চা পাতার চপ, উপচে পড়ছে ভিড় ক্রেতাদের
অ্যাক্সিডেন্টের মুহূর্তের কথা মনে করলে এখনো কান্না ধরে রাখতে পারছেন না রাজেশ মার্ডি। দুমড়ে মুচড়ে যাওয়া ট্রেনের কম্পার্টমেন্টে অনেকগুলি মৃতদেহের মধ্যে আটকেছিলেন তিনি। এর মধ্যে তিনি বেঁচে আছেন সেই কথা এখনো চিন্তাভাবনা করলে তা শিউরে উঠছে রাজেশের। জানা যায় ওই কম্পার্টমেন্টে ৫০ জন বেঁচে ছিল বাকিদের সবাই মৃত।
আরও দেখুন
কীভাবে তিনি ট্রেন থেকে মুক্তি পেলেন তা মনে করতে পারছেন না।ক্ষতিগ্রস্ত কামরা থেকে তাদের বার করার পর নিয়ে যাওয়া হয়হাসপাতালে। সেখানে চিকিৎসার পর নিয়ে আসা হয় হাওড়ায়। হাওড়া হাসপাতাল থেকে তাদের ফিরিয়ে নিয়ে আসা হলজেলায়। এখন তারা মোটামুটি সুস্থ। সুস্থ হলেও সেই দিনের ঘটনার আতঙ্ক পিছু ছাড়ছেনা। রেল পুলিশ জেলা পুলিশ ও স্বাস্থ্য দফতরেরবিশেষ টিম এই দুই আহত যাত্রীকে নিয়ে আসে বালুরঘাট স্টেশন।
Susmita Goswami