প্রসঙ্গত, দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা তথা উত্তরবঙ্গের অন্যতম বৃহৎ পুজোগুলির মধ্যে উল্লেখযোগ্য বোল্লা রক্ষাকালী পুজো। এই পুজোয় বাতাসার পাশাপাশি চাহিদা থাকে ক্ষীরের সন্দেশের। পুজোর চার দিন কয়েক হাজার কুইন্টাল ক্ষীরের সন্দেশের প্রয়োজন হয়৷ তাই পুজোর প্রায় দিন পনেরো আগেই ক্ষীরের সন্দেশ তৈরি করতে কারিগররা মালদহ থেকে চলে আসেন বোল্লায় ৷
advertisement
এ বিষয়ে বোল্লা রক্ষাকালী পুজো ও মেলা কমিটির সদস্য জানান ‘‘মায়ের পুজোয় ভোগ দেওয়ার জন্য এবছরও বহু দোকান এসেছে। কেউ কেউ অনেক দিন আগে থেকে এসে ক্ষীরের সন্দেশ তৈরি করছেন। সব মিলিয়ে প্রায় কয়েক কুইন্টাল ক্ষীরের সন্দেশ ও ভোগ প্রস্তুত হচ্ছে। বোল্লা পুজোয় ভোগের মধ্যে অন্যতম এই সন্দেশ বা মিষ্টান্ন ভোগ।’’
এই বছর বোল্লা মাকে ভোগে নিবেদন করা হবে পাঁচ কুইন্টাল দুধ দিয়ে তৈরি সত্তর কেজি ক্ষীরের মহাভোগ। তাই পুজোয় সন্দেশের জোগান স্বাভাবিক রাখতে প্রায় এক মাস আগে থেকেই বানানোর প্রস্তুতি শুরু হয়ে যায়। মালদহ থেকে এসেছেন মিষ্টান্ন গড়ার কারিগরেরা। কারিগররা জানান, ভাইফোঁটার পরেই তাঁরা বোল্লা মেলা চত্বরে আসেন। এরপরেই জোরকদমে কাজ চলতে থাকে।”
জানা গিয়েছে, পুজোর কয়েক দিনে কয়েক হাজার কুইন্টাল সন্দেশ বিক্রি হয়। জেলা-সহ বাইরে থেকে সন্দেশ বিক্রেতারা বোল্লা মেলায় পশরা সাজিয়ে বসেন। পুজোয় যে পরিমাণ সন্দেশের চাহিদা থাকে, তা অন্য জায়গা থেকে একবারে নিয়ে আসা সম্ভব হয় না। তাই দিনরাত এক করে তৈরি করা হয় ছাঁচের তৈরি সন্দেশ।
আরও পড়ুন : রোজ মুঠো মুঠো জোয়ান খান? কী সর্বনাশ করছেন! কাদের এই মশলা খাওয়া খুবই ক্ষতিকর, জানুন
পুজোর মধ্যে অন্যতম ক্ষীরের সন্দেশের ভোগের যোগান স্বাভাবিক রাখতে আগেভাগেই বোল্লায় চলে আসেন মিষ্টির কারিগররা। প্রায় একমাস আগে থেকে বোল্লায় কারখানা করে মালদহের কারিগররা তৈরি করছেন কুইন্টাল কুইন্টাল ভোগের সন্দেশ।