আরও পড়ুনঃ কালই ঘুরবে ভাগ্য! ৪বছরে মাত্র একবার এই প্রতিকার করার সুযোগ! টাকা পয়সা কখনও শেষ হবেনা
স্থানীয় বাসিন্দাদের পক্ষ থেকে জানা যায়, বিদ্যেশ্বরী মায়ের পুরনো যে মন্দির ছিল সেই মন্দিরটি কালক্রমে মাটির নীচে চাপা পড়ে যায়। পরবর্তী সময়ে মন্দিরটি তৈরি করার পর সেই মন্দিরকে বেষ্টিত করে রয়েছে বট ও পাকুর গাছ। কালের গ্রাসে মন্দিরটির জীর্ণদশা দাঁড়িয়ে আছে। প্রাচীন এই মন্দিরের দেওয়ালের কিছু খিলানে কুলঙ্গি রয়েছে। কিন্তু বট গাছের দাপটে মন্দিরের অস্তিত্ব টিকে রয়েছে। বছরের পর বছর পেরিয়ে গেছে। মন্দিরের গায়ে অপূর্ব কারুকার্য লক্ষ্য করা যায়। মন্দিরের ভেতরে পূজিতা হন মা বিদ্যেশ্বরী রূপে।
advertisement
পুজো কমিটির সেক্রেটারি জানান, \” সারা বছর পুজোর্চনার পাশাপাশি প্রথা মেনে মাঘী পূর্ণিমার দিন শুরু হয় মায়ের অধিবাস। এরপর পাঁচ দিন ব্যাপী যজ্ঞানুষ্ঠান করে মায়ের পুজো চলে। মন্দিরে মায়ের চার স্বরূপ হিসেবে রাসকালী, শ্যামাকালী, তারাকালী ও মরকা কালী মাতার পুজো সম্পূর্ণ হয়। সূর্যওঠা থেকে শুরু করে সূর্যাস্ত পর্যন্ত দীর্ঘক্ষণ ধরেই এই যজ্ঞ হয়ে থাকে। আর এই যজ্ঞ ও মায়ের পুজো স্বচক্ষে দেখতে প্রচুর ভক্তের সমাগম হয়ে থাকে প্রতি বছরই। মায়ের কাছে ভক্তরা যা মানত করেন তাই পুরণ হয়। এলাকা তো বটেই, মায়ের কৃপা পেতে প্রতি বছর দূর-দুরান্ত থেকে বহু ভক্তের সমাগম হয়ে থাকে বিদ্যেশ্বরী মন্দির প্রাঙ্গনে।”
ধর্ম-বর্ণ মিলে সবাই মেতে ওঠে মায়ের আরাধনায়। এই পুজোয় সকলেই উপোস করে পুজো দেন, মানত করেন। মানত পূরণ হলে ফের মায়ের কাছে আসেন পুজো দিয়ে আশীর্বাদ নিতে। কদমা ও খাজা-বাতাসার মানতের ঢল নামে মন্দিরে। সোনা রুপোর অলঙ্কার নিয়ে পুজো দিতে লম্বা লাইন পড়ে। দেবীর পুজোর পাশাপাশি প্রসাদ বিতরণও চলে। মেলায় হরেক রকমের দোকান বসে। খাবার থেকে শুরু করে নানান জিনিসের পসরা সাজিয়ে বসেন ব্যবসায়ীরা।
সুস্মিতা গোস্বামী