কোচবিহার গোসানিমারির কান্তেশ্বরী মন্দিরের গুগল ম্যাপ লিঙ্ক:
কোচবিহার জেলার মন্দির গুলোর মধ্যে বেশিরভাগই হল হেরিটেজ মন্দির। তাছাড়া গোসানিমারির কান্তেশ্বরী মন্দির হল রাজার তৈরি করা একটি প্রাচীন মন্দির। রাজ আমলের ঐতিহ্যবাহী এই প্রাচীন হেরিটেজ মন্দিরে শুটিং করার জন্য নেওয়া হয়নি কোন ধরনের অনুমান। এক প্রকার জোর করেই এখানে এই ভিডিও শ্যুট করা হয়েছে। কোচবিহার শহরে যে কোন মন্দিরে অনুষ্ঠান বা ভিডিও শ্যুট করতে হলে, তার আগে সরকারি প্রতিনিধিদের কাছ থেকে অনুমতি নিতে হয়। তবে বিনা অনুমতিতে এই মন্দিরের ভেতরে ঢুকে কিভাবে একটি ইউটিউব চ্যানেল ভিডিও বানানোর সুযোগ পেল সেটা নিয়ে উঠতে শুরু করেছে একাধিক প্রশ্ন।
advertisement
এছাড়া মন্দিরের ঠিক উল্টো দিকের একটি দোকান থেকে বিদ্যুৎ সংযোগের তার নেওয়া হয়েছিল। এবং সেটি মন্দির চত্বরের ভেতরে ঢোকানো হয়েছিল মন্দিরে প্রবেশ করার সদর দরজা দিয়ে। এবং দীর্ঘ প্রায় চার ঘণ্টার বেশি সময় ধরে মন্দির চত্বরের ভেতরে চলে এই ভিডিও শ্যুটিং। তবে সদর দরজা দিয়ে উন্মুক্ত ভাবে বিদ্যুৎ এর তার নিয়ে যাওয়ার ফলে যেকোন মুহুর্তে মন্দির দর্শনার্থীদের সাথে একটি বড় দূর্ঘটনা ঘটে যেতেই পারত।
এই বিষয় নিয়ে মন্দিরের দায়িত্বে থাকা পুরোহিতকে প্রশ্ন করা হয়। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সেই পুরোহিত জানান, "মন্দিরে কোন পুলিশ কিংবা সিকিউরিটি গার্ড নেই। আর আমাদের কথা কেউ গুরুত্বই দেয় না। আমরা হাজার বার বললেও আমাদের কথা কেউ শোনে না। স্থানীয় প্রশাসনকে বহুবার জানানো হয়েছে মন্দিরে পুলিশ বা সিকিউরিটি গার্ড বসানোর জন্য। তবে এখনও পর্যন্ত কোন সদুত্তর পাওয়া যায়নি।"
আরও পড়ুন Kolkata Weather Update: ঘণ্টা খানেকের মধ্যে ঝমঝমিয়ে বৃষ্টি কলকাতায়, সাবধানে থাকার নির্দেশ
এলাকার স্থানীয় বাসিন্দাদের প্রশ্ন করা হলে বেশীরভাগ মানুষ কেউ কোন রকম কথা বলতে রাজি হননি এই বিষয় নিয়ে। তবে এই মন্দিরে ঘুরতে আসা সজল বর্মন নামে এক ব্যক্তি জানান, "রাজ আমলের প্রাচীন মন্দিরের ঐতিহ্যকে আজ যেভাবে কালিমালিপ্ত করা হল তা একপ্রকার মেনে নেওয়া যায় না। জেলা প্রশাসনকে অবিলম্বে এ বিষয় নিয়ে কড়া পদক্ষেপ গ্রহণ করার আর্জি জানাচ্ছি। আর ভবিষ্যতে যাতে এই মন্দির চত্বরে এরকম কাজ আর কেউ করতে না পারে সেদিকেও লক্ষ্য রাখতে হবে। তার জন্য যা উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করা দরকার। সেটা দ্রুত গ্রহণ করুক জেলা প্রশাসন।"
Sarthak Pandit