পড়াশোনার বিষয়ে চূড়ান্ত মেধাবী ছাত্রী অদিশা দেবশর্মা। মাধ্যমিকেও সে ভালো ফলাফল করেছিল। তবে পাঁচ নম্বরের জন্য সেবার তার নাম মেধা তালিকায় থাকা হয়নি। তবে তারপর থেকেই উচ্চমাধ্যমিকে আরোও বেশি ভালো ফলাফলের আশায় সে পড়াশোনা করতে থাকে।
তার পড়তে বেশি ভালো লাগতো অঙ্ক বিষয়। এছাড়া অন্যান্য সমস্ত বিষয়েই তার আগ্রহ ছিল প্রচুর। টিউশন পড়া ছাড়াও সে দিন ৫ থেকে ৬ ঘণ্টার বেশি পড়াশোনা করত। পড়াশোনার পাশাপাশি গান এবং নাচ করতে ভালো লাগতো তার। এছাড়াও বিভিন্ন সমাজসেবা মূলক কাজকর্ম করতে ভাল লাগে তার। ভবিষ্যতে সে ভালো কোন চাকরি পেয়ে নিজের পায়ে দাঁড়িয়ে সমাজসেবা মূলক কাজে নিজেকে নিয়োজিত করতে চায়।
advertisement
অদিশার বাবা হলেন একজন প্রাথমিক স্কুল শিক্ষক। এবং মা স্বাস্থ্য দফতরের একজন কর্মী। মেয়ের এই চূড়ান্ত সাফল্যের কারণে খুব খুশি ওঁরা দু'জন। মেয়ের ওপর পূর্ণ আস্থা রয়েছে তাঁদের। তাঁরা জানেন মেয়ে ভবিষ্যতেসমাজে প্রতিষ্ঠিত হয়ে উঠবেই। মেয়ে ভবিষ্যতে যা হতে চায় সেটাতেই খুশি তারা। এছাড়া সকাল থেকেই এলাকাবাসীরা রীতিমত ভীড় করে রয়েছেন অদিশার বাড়ি জুড়ে। স্কুলের প্রধান শিক্ষক পিন্টু কর্মকার জানিয়েছেন, "তাদের স্কুল থেকে এই প্রথম কেউ এত ভালো ফলাফল করে রাজ্যের মেধা তালিকায় স্থান গ্রহণ করেছে। স্কুলের এই অত্যন্ত মেধাবী ছাত্রীর দারুণ সাফল্যের কারণে খুশি স্কুলের সমস্ত শিক্ষক সহ সকল ছাত্র-ছাত্রীরা।"
সার্থক পন্ডিত





