এই অভিনব শ্রদ্ধার্ঘ্য প্রসঙ্গে শিল্পী সোমা মুখার্জী বলেন, "দীর্ঘ প্রায় ৬ মাসের পরিশ্রমে এই মূর্তিগুলো তৈরি করা সম্ভব হয়েছে। বাংলা কমিকসের আইকন নারায়ণ দেবনাথকে তাঁর প্রথম মৃত্যু বার্ষিকীতে শ্রদ্ধা জানাতে এই উদ্যোগ।"
শিল্পীর সোমা মুখার্জী যেমন তাঁর আবেগ থেকে নন্টে ফন্টেদের সবচেয়ে ছোট মূর্তি তৈরি করে নারায়ণ দেবনাথকে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন, তেমনই আজও বহু মানুষের কাছে আবেগের নাম নারায়ণ দেবনাথ। তিনি পঞ্চাশ বছরেরও বেশি সময় ধরে তাঁর লেখা ও আঁকা কমিকস দিয়ে ছোট থেকে বড় সকল স্তরের বাঙালিকে মাতিয়ে রেখেছিলেন।
advertisement
আরও পড়ুন: 'যখের ধন' আগলে ব্যবসায়ী, পিঠে পড়ল একের পর এক ছুরির কোপ!
নারায়ণ দেবনাথের জন্ম ও বেড়ে ওঠা হাওড়ার শিবপুরে। তাঁর পরিবারের আদি বাসস্থান বাংলাদেশের বিক্রমপুরে হলেও, নারায়ণের জন্মের আগেই দেবনাথ পরিবার শিবপুরে পাকাপাকি চলে আসে। অল্প বয়স থেকেই নারায়ণ দেবনাথের শিল্পের প্রতি দারুন ঝোঁক ছিল। পারিবারিক পেশা ছিল স্বর্ণকারে। তাই ছোট থেকেই অলঙ্কারের নক্সা তৈরি করতেন। এই ভাবেই আঁকায় হাতেখড়ি তাঁর। যা পরবর্তীকালে নারায়ণ দেবনাথকে ভারতীয় কমিকসের প্রবাদ পুরুষে পরিণত করে।
বাংলা কমিকসের জগতে নারায়ণ দেবনাথের আগমন ঘটে দেব সাহিত্য কুটিরের সম্পাদক মণ্ডলীর উৎসাহে। তাঁর প্রথম কমিকস হাঁদা ভোঁদা নামটিও তাদের প্রস্তাবিত। শুরুতে নারায়ণ দেবনাথ নিজেই হাঁদা ভোঁদার ছবি আঁকতেন ও কালি বসানোর কাজ করতেন। পরবর্তীতে তা গ্রে স্কেলে প্রকাশ করার ব্যবস্থা করা হয়। হাঁদা ভোদা ৫৩ সপ্তাহ ধরে শুকতারা পত্রিকায় চলেছিল। নারায়ণ দেবনাথের প্রথম রঙিন কমিক স্ট্রিপ ছিল বাঁটুল দি গ্রেট। ১৯৬৫ সালে বাঁটুল দি গ্রেটের সৃষ্টি করেছিলেন তিনি।
গত বছর এই দিনে, ১৮ জানুয়ারি প্রয়াত হন এই প্রবাদপ্রতিম শিল্পী। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৯৬ বছর। তবে তিনি আমাদের মাঝে না থাকলেও তাঁর শ্রেষ্ঠ চরিত্রগুলো অমর হয়ে থেকে যাবে বাঙালির মনে। কোচবিহারের সোমা মুখার্জি ফের সেটাই আবার প্রমাণ করলেন।
সার্থক পণ্ডিত