সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি জানান, “বিগত ১০ বছর থেকে তিনি জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষ পদে রয়েছেন। তাই এই বছর আর তিনি প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে চান না। উল্টে তিনি চান জেলা জুড়ে যে সমস্ত মহিলারা দলীয় ভাবে প্রার্থী হবেন তাঁদের প্রচারে অংশগ্রহণ করতে।” তিনি আরও বলেন, “এই বার্তা ইতিমধ্যেই তিনি কোচবিহার জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের নেতৃত্বের কাছে পৌঁছে দিয়েছেন। তাঁর জায়গায় নতুন প্রার্থী নিয়ে আসার কথাও বলেছেন তিনি।”
advertisement
বিগত ১০ বছর থেকে কোচবিহার জেলা পরিষদের স্বাস্থ্য কর্মাধ্যক্ষ হিসেবে ছিলেন সুচিস্মিতা দত্ত শর্মা। বিগত পঞ্চায়েত নির্বাচনগুলিতে তিনি তৃণমূল কংগ্রেসের অনবদ্য এবং শক্ত একটি খুঁটি হিসেবে উঠে এসেছিলেন। এবারের পঞ্চায়েত ভোটের মুখে তাঁর এই সিদ্ধান্ত রীতিমত চিন্তায় ফেলে দিয়েছে জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের নেতৃত্বদের।
সুচিস্মিতা দত্ত শর্মা জানান, “তৃণমূলের নব জোয়ার এসেছে। তাই নতুনদের সুযোগ দেওয়ার উদ্দেশ্যেই তিনি নিজেই নিজের প্রার্থী পথ থেকে সরে দাঁড়াচ্ছেন। তিনি নিজেকে আর প্রার্থী করতে চান না। বরং গোটা জেলায় যে সমস্ত মহিলারা দাড়াবেন প্রার্থী হিসেবে, তাদের পাশে দাঁড়াতে চান তিনি।”
যদিও এই বিষয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাননি জেলা তৃণমূল সভাপতি অভিজিৎ দে ভৌমিক। তবে এখনও পর্যন্ত প্রকাশিত হয়নি তৃণমূল কংগ্রেসের পঞ্চায়েত ভোটের প্রার্থী তালিকা। সুতরাং, কোন এলাকায় কে প্রার্থী হচ্ছে? আর কে হচ্ছেন না? এই প্রার্থী তালিকা কী হতে চলেছে? এই সকল বিষয় নিয়ে যথেষ্ট সন্দেহ রয়েছে জেলা তৃণমূলের শিবিরের অন্দরেই।
যদিও দলীয় সিদ্ধান্ত না মেনে ইতিমধ্যে কিছু কিছু মনোনয়ন জমা পড়েছে বিভিন্ন ব্লকে। এই পরিস্থিতিতে যেখানে পঞ্চায়েত নির্বাচনে ৫০ শতাংশ আসন মহিলাদের জন্য সংরক্ষিত। সেখানে সুচিস্মিতা দত্ত শর্মার এভাবে সরে যাওয়া রাজনৈতিকভাবে কতটা প্রভাব ফেলবে সেটাই এখন দেখার বিষয়।
সার্থক পণ্ডিত