কোচবিহারের দাপুট তৃণমূল নেতা মফিজুল হক দিনাটা-১ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি। শুক্রবার তিনি হঠাৎই বিডিও অফিসে এসে হাজির হন। তাঁর অভিযোগ, বৈধ প্রাপকদের বাদ দিয়ে অর্থের বিনিময়ে বিডিও অফিস থেকে আবাস যোজনার তালিকায় নাম ঢোকানো হচ্ছে। এর জন্য ব্লক ইনফরমেশন অফিসার সুকল্যাণ ভট্টাচার্য নামে এক সরকারি কর্মী প্রত্যেকের কাছ থেকে ৫ হাজার টাকা করে নিয়েছেন বলে ওই তৃণমূল নেতা দাবি করেন। মফিজুল হকের আরও অভিযোগ, জোর করে তাঁকে বিপাকে ফেলার চেষ্টা করছেন ওই সরকারই কর্মী। যে কোনও কাজে তাঁকে বলা হচ্ছে পঞ্চায়েত প্রধান ও নোডাল অফিসারের স্বাক্ষর থাকলে তবেই কাজ হবে। এমনকি যে সমস্ত কাগজপত্রে প্রধান ও নোডাল অফিসারের সই দরকার নেই তাতেও জোর করে সই চাওয়া হচ্ছে বলে তিনি অভিযোগ করেন।
advertisement
আরও পড়ুন: গঙ্গাসাগরে এসে গুরুতর অসুস্থ নেপালের তীর্থযাত্রী, এয়ার অ্যাম্বুল্যান্সে করে নিয়ে আসা হল কলকাতায়
একসময় ব্লক ইনফরমেশন অফিসার সুকল্যাণ ভট্টাচার্যের ঘরে ঢুকে পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি ব্যাপক চিৎকার চেঁচামেচি করেন। এরপর ওই ঘরে থাকা সরকারি কম্পিউটার ভেঙে দেন, টেবিল থেকে কাগজপত্র ছুড়ে ফেলে লন্ডভন্ড করেন। শেষে অফিসের দরজায় তালা লাগিয়ে দেন ওই তৃণমূল নেতা।
এই ঘটনার জেরে এলাকায় ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ায়। যদিও তাঁর বিরুদ্ধে ওঠাও অভিযোগ বা পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতির ভাঙচুর নিয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাননি অভিযুক্ত সরকারি কর্মী। তবে রাজনৈতিক নেতাদের পর এবার সরকারি কর্মীর দিকে আবাস যোজনার তালিকা নিয়ে দুর্নীতির অভিযোগ ওঠার বিষয়টি প্রশাসনের কপালে চিন্তার ভাঁজ ফেলেছে।
সার্থক পণ্ডিত