কোচবিহার জেলার বই প্রকাশনা সংস্থার পাশাপাশি বাইরেরও প্রচুর নামিদামি বই প্রকাশনা সংস্থাকেও এই বই মেলায় নিজেদের বইয়ের পসরা সাজিয়ে বসতে দেখা যায়। জেলা বইমেলা সদর শহরের রাস মেলা ময়দান থেকে সরিয়ে নিয়ে মহকুমা শহর দিনহাটায় আয়োজন করার কারণে জেলার বহু সাধারণ মানুষেরা মিশ্র প্রতিক্রিয়া দিচ্ছেন। কিছু মানুষ বলছেন, "জেলা বইমেলা সদর শহর থেকে মহকুমা শহরে সরিয়ে নিয়ে গেলে মেলায় ভিড় কমবে।"
advertisement
আবার কিছু মানুষ বলছেন, "এবছর জেলা বইমেলা সদর শহর থেকে মহাকুমা শহরের স্থানান্তরিত করার ফলে বহু মানুষেরা বইমেলার প্রতি নিজেদের আগ্রহ হারাচ্ছেন। তাই এই বই মেলা সদর শহরে আয়োজন করা হলে বেশ ভালই হয়।" তবে এই বিষয়ে কোচবিহার জেলা গ্রন্থাগার আধিকারিক শিবনাথ দে জানান, "মহকুমা শহরের বাসিন্দাদের ইচ্ছাকে সাধুবাদ জানিয়ে রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তাই এ বছর জেলা বইমেলা মহাকুমা শহর দিনহাটার সংহতি ময়দানে আয়োজন করা হচ্ছে। আমরা আশা রাখছি বইপ্রেমী মানুষেরা প্রতি বছরের মতন এ বছরেও বইমেলায় ভিড় জমাবেন।"
আরও পড়ুনঃ নর্দমা তৈরির জেরে সাগরদিঘির চত্বরে যানজট! সমাধানের দাবি এলাকাবাসীর
এছাড়াও এবছর জেলা বইমেলার যুগ্ম কনভেনার সাবলু বর্মন জানান, "দ্রুত বইমেলার সমস্ত কাজকর্ম শুরু করে দেওয়া হবে। সদর শহর হোক কিংবা হোক মহাকুমা শহর। যেখানেই বইমেলা হোক না কেন, বইমেলায় বই প্রেমী মানুষেরা ভিড় জমাবেন। তবে এ বছর প্রথমবার এতদিন পরে সদর শহর থেকে বইমেলা মহকুমা শহরে স্থানান্তরিত করা হয়েছে। তাই বহু বই প্রকাশনা সংস্থা একটু চিন্তিত হয়ে রয়েছেন বই বিক্রি নিয়ে।
আরও পড়ুনঃ রাস্তা তো নয়, যেন মৃত্যু ফাঁদ! চরম সমস্যায় ভুগছেন রসিকবিল এলাকার মানুষ
তবে বই মেলা কমিটির সকলেই আশাবাদী যে এবছরের বই মেলায় প্রচুর মানুষ নিজেদের পছন্দের বই কিনতে বই মেলায় ভিড় জমাবেন।" মহকুমা শহরে আয়োজন করা হলে অন্যান্য মহকুমা শহর থেকে বইমেলায় আসতে যাতায়াত ব্যবস্থার কারণে সমস্যায় পড়তে হতে পারে। তবে জেলা প্রশাসনের যদি যাতায়াত ব্যবস্থার দিকে নজর দেয়। তবে অনেকেই এই বই মেলা উপভোগ করতে পারবেন।
Sarthak Pandit