কোচবিহারের একজন বাসিন্দা সুকান্ত চক্রবর্তী জানান, পেশায় তিনি একজন মেডিক্যাল রিপ্রেজেন্টেটিভ। সারা দিন বিভিন্ন ডাক্তারের চেম্বারে ঘুরতে হয় তাঁকে। রোদের মধ্যেই বাইক চালিয়ে ঘুরতে হয়। তাই গরমের মধ্যে গলা শুকিয়ে এলে তিনি দাঁড়িয়ে পড়েন আখের রসের দোকানের সামনে। এক গ্লাস কিংবা দুই গ্লাস আখের রস খেলেই মন তৃপ্ত হয়ে ওঠে। আখের রসের মধ্যে যে প্রচুর পরিমাণ উপকারিতা রয়েছে সেই বিষয় সম্পর্কেও তিনি জানান, "আখের রসের মধ্যে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ ফাইবার। যা মানুষের শরীরের পক্ষে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এছাড়াও আখের রসের মধ্যে প্রচুর পরিমাণে গ্লুকোজ পাওয়া যায়। এই গ্লুকোজ শরীরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। এছাড়াও আখের রস লিভারের পক্ষে যথেষ্ট উপকারী।"
advertisement
আরও পড়ুন : সুস্থ থাকতে রাস্তার দোকানে চা পান করুন মাটির ভাঁড়ে
যে সমস্ত রোগীদের জন্ডিস রোগ হয়ে থাকে আখের রস তাদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কারণ জন্ডিসের ফলে লিভারের কার্যক্ষমতা অনেকটাই কমে আসে। তখন আমাদের খাওয়া খাবারের থেকে পর্যাপ্ত পরিমাণে গ্লুকোজ লিভার তৈরি করতে পারেনা। তবে আখের রসের মধ্যে যে বিপুল পরিমাণ গ্লুকোজ রয়েছে তার লিভারের কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। আখের রস পান করলে লিভারের উপর চাপ না দিয়েও শরীরের জন্য পর্যাপ্ত পরিমাণ গ্লুকোজ পাওয়া সম্ভব। আর এই সকল কারণের জন্যই, আখের রসের উপকারিতা অনেকটাই বেড়ে যায়।
আরও পড়ুন : দীপিকার মতো সুন্দরী হতে চান? জেনে নিন অভিনেত্রীর গোপন স্কিন কেয়ার রুটিন
খালি পেটে আখের রস খেলে তা অনেকটাই বেশি কাজে লাগে। তবে মধুমেহ রোগে আক্রান্ত রোগীদের ক্ষেত্রে সরাসরি এই আখের রস খাওয়া উচিত নয়। তবে যদি মধুমেহ রোগে আক্রান্ত রোগীরা ইনসুলিন কিংবা অন্য কোনও ওষুধ ব্যবহার করে থাকেন, এবং তার ফলে যদি হঠাৎ কোনও সময় শরীরের সুগারের মাত্রা অনেকটাই কমে যায়, তখন রীতিমতো প্রাণ সংশয়ের আশঙ্কা থাকে সেই সমস্ত রোগীদের। সেক্ষেত্রে সেই সমস্ত রোগীদের আখের রস খাইয়ে তা নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব। এবং সাময়িকভাবে তাদের শরীরের সুগারের মাত্রা বৃদ্ধি করে তাদের প্রাণ বাঁচানো সম্ভব।
( Disclaimer : এই প্রতিবেদনটি কেবলমাত্র সাধারণ তথ্যের জন্য, তাই বিস্তারিত জানতে হলে সর্বদা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।)