তোর্সা নদীর পাড়ের দুই স্থানীয় বাসিন্দা মনোতোষ মুখার্জী এবং মমতা খাতুন জানান, "এক বছর আগে ঝড়ের দাপটে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছিল গোটা এলাকায়। অনেক মানুষের বাড়ির টিনের চাল উড়ে গিয়েছিল ঝড়ের মধ্যে। বহু মানুষ আশ্রয়হীন হয়ে পড়েছিলেন তখন। গাছ ভেঙে পড়া থেকে শুরু করে, বিদুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছিল গোটা এলাকায়। তবে তখন স্থানীয় প্রশাসনিক স্তরের কর্তারা এবং বিপর্যয় মোকাবেলা দল বেশ ভালো ভাবেই গোটা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করেছিল। তবে এই বছর আবার সেই একই পরিস্থিতি হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। তাই এলাকার স্থানীয় মানুষেরা রীতিমত চিন্তিত হয়ে রয়েছেন। চিন্তায় রাতের ঘুম উড়েছে বহু মানুষের। সরকারের কাছে স্থানীয়দের দাবি পর্যাপ্ত পরিমাণে ত্রাণসামগ্রী মজুত করে রাখা।"
advertisement
আরও পড়ুন: বাড়ির সীমানা থেকে রহস্যজনক আওয়াজ শোনা যাচ্ছিল! কাছে যেতেই একী দেখলেন ব্যক্তি!
বিপর্যয়ের মোকাবেলার বিষয়ে কোচবিহারের সদর মহকুমা শাসক শেখ রাকিবুর রহমান জানান, "কোচবিহারের জেলা প্রশাসন সজাগ রয়েছে বিপর্যয় মোকাবেলার বিষয়ে। ইতিমধ্যেই কালবৈশাখীর ঝড়ের সময় শুরু গিয়ে গিয়েছে। তাই বিপর্যয় মোকাবেলা দলকে তৈরি করে রাখা হচ্ছে যেকোন ধরনের বিপদজ্জনক পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে। এছাড়া পর্যাপ্ত পরিমাণে ত্রান সামগ্রী মজুত করা হচ্ছে। তবে আগের বছর যে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছিল। সেই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে বেশ অনেকটাই বেগ পেতে হয়েছিল জেলা প্রশাসনকে। এই বছর সেই আশঙ্কার কথা মাথায় রাখা হচ্ছে। সাধারণ মানুষকে ইতিমধ্যেই সজাগ থাকতে বলা হচ্ছে। ঝড়ের সময় নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে বলা হচ্ছে।"
Sarthak Pandit