স্থানীয় সূত্র মারফত জানতে পারা গিয়েছে, "গত শুক্রবার রাতে নিজের বাড়িতেই গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মঘাতী হয় সন্ধ্যা রায় নামে এক গৃহবধূর। শনিবার পুলিশ ময়নাতদন্তের পর দেহ তুলে দেয় পরিবারের হাতে। তবে গৃহবধূর আত্মঘাতী হওয়ার ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই শুরু হয় তীব্র জল্পনা। তারপরেই প্রকাশ্যে আসে এক মাস আগে স্বামীর চাকরি বাতিলের ঘটনা। গৃহবধূর স্বামীর নাম কাঞ্চন রায়। তিনি জামালদহ তুলসী দেবী হাইস্কুলের গ্রুপ ডি পদে চাকরি করতেন।"
advertisement
স্বামীর আচমকা চাকরি যাওয়ার পর থেকেই সংসারে অশান্তি দেখা দেয় ওই ব্যক্তির বাড়িতে। ওই এলাকার নাম অপ্রকাশে অনিচ্ছুক এক বাসিন্দা জানান, "চাকরি পেতে চা বাগান সহ জমি বিক্রি করেছিলেন কাঞ্চন। ফলে চাকরি হারিয়ে সম্পূর্ণ নিঃস্ব হয়ে যান তিনি। তাই চাকরি হারিয়ে দিশেহারা হয়ে যান কাঞ্চন। বিভিন্ন বিষয় নিয়ে স্ত্রীর সঙ্গে কথা-কাটাকাটি প্রায়শই চলতেই থাকতো চাকরি যাওয়ার পর থেকে। তাই হয়তো এই ঘটনা ঘটেছে।"
তবে ওই গৃহবধূর এক আত্মীয় জানিয়েছেন, "চাকরি যাওয়ায় পর থেকে অর্থনৈতিক সমস্যায় একেবারেই ভেঙ্গে পড়েছিল ওই পরিবার। একটা সাজানো গোছানো সংসার তছনছ হয়ে যায় কাঞ্চনের চাকরি যাওয়ায় ফলে। তাদের দুই ছেলে রয়েছে। একজন সামনের বছর মাধ্যমিক দেবে আর একজন অষ্টম শ্রেণিতে পড়া শুনা করছে। তাদের ভবিষ্যৎ নিয়ে মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন কাঞ্চনের স্ত্রী। তবে হয়তো সেই অবসাদ কেড়ে নিয়েছে প্রাণ।"
চাকরি বাতিলের ঘটনার ফলে গৃহবধূর আত্মঘাতী হওয়ার ঘটনায় নতুন করে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। যাদের হাত ধরে চাকরি পেয়েছেন কাঞ্চন আদৌ কি তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হবে? ওই এলাকার এক স্থানীয় ব্যক্তি সুরজ বর্মন বলেন, "যারা টাকা দিয়ে চাকরি পেয়েছেন তারা শাস্তি পেলেন। কিন্তু, যারা চাকরি বিক্রি করলেন তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না এখনোও পর্যন্ত। সরকার কি আদৌ কোন পদক্ষেপ গ্রহণ করবে? আইন কি তাদের কে শাস্তি দিতে পারবে?"
সার্থক পণ্ডিত