মাথাভাঙ্গা মদনমোহন বাড়ির পুরোহিত অঙ্কিত পাণ্ডে জানান, ” মাথাভাঙা মদনমোহন বাড়ির রথে জগন্নাথ,বলরাম সুভদ্রা এবং মদনমোহন সবাই চাপেন। রথের মেলায় ভক্তবৃন্দদের ভিড় উপচে পড়ে। রথের মেলার দিন মাথাভাঙা মদনমোহন বাড়িতে বিশেষ পুজোর আয়োজন করা হয়। মদনমোহন বাড়ির মূল মন্দিরে যেমন পুজো হয়, ঠিক তেমনি বাইরের মন্দিরেও রথ উপলক্ষে বিশেষ পুজো করা হয়। তারপরে রথ বের করা হয় মদনমোহন বাড়ি থেকে। তবে মাথাভাঙায় মাসির বাড়ি না থাকার কারণে রথ পুনরায় মদনমোহন বাড়িতেই ফিরে আসে। উল্টো রথের দিন একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি হয়। সেদিনও প্রচুর ভক্তবৃন্দ ভিড় জমান মন্দির চত্বরে।”
advertisement
মাথাভাঙার এক প্রবীণ বাসিন্দা নীলমনি সাহা জানান, “১৯০৩ সালে রাজাদের দ্বারা মদনমোহন বাড়ির স্থাপন করা হয় মাথাভাঙায়। তার বেশ কয়েক বছর পর থেকেই রথের মেলার আয়োজন করা হয় মাথাভাঙা মদনমোহন বাড়িতে। সেই প্রথা আজও হয়ে আসছে। তবে একটা সময় বাঁশের রথ ছিল। দীর্ঘ ৪৫ থেকে ৪৬ বছর আগে বাঁশের রথের পরিবর্তে কাঠের রথ তৈরি করা হয়।” মাথাভাঙা শহরের আর এক বাসিন্দা রাজকমল সাহা জানান, ” যুবসমাজকে ধীরে ধীরে এই রথের বিষয়ে এগিয়ে আসতে হবে। দীর্ঘ সময় ধরে শহরের প্রবীণ মানুষেরা রথের কাজকর্ম পরিচালনা করছেন। এবার ভবিষ্যৎ প্রজন্ম হাল না ধরলে ধীরে ধীরে রথযাত্রা বন্ধ হয়ে যাবে। গতবছর রেকর্ড ভিড় হয়েছিল এই রথের মেলা উপলক্ষে। এ বছরও সেই রকমই আশা রয়েছে সকলের।”
Sarthak Pandit