ঘটনায় গ্রেফতার করা হয় এক যুবকে। সেই অভিযুক্তকে জিজ্ঞাসাবাদ করার মাধ্যমে এই চাঞ্চল্যকর তথ্য জানতে পারে পুলিশ। বৃহস্পতিবার ধৃত যুবককে আদালতে পাঠানো হলে বিচারক পাঁচদিনের পুলিশ হেপাজতের নির্দেশ দেন ওই অভিযুক্তের। এছাড়াও নেওয়া হয় নিগৃহীতার কাছ থেকে গোটা ঘটনার জবানবন্দি। তারপর মেডিকেল রিপোর্ট আসলে সেই যুবতীকে তার পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হয়।
advertisement
আরও পড়ুন: কোন বয়সের মেয়েদের কেমন ছেলে পছন্দ? নারীমনের বিরাট 'রহস্য' ফাঁস! মিলিয়ে নিন তালিকা!
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, "কোচবিহারের খাগড়াবাড়িতে একটি নাচগানের অনুষ্ঠানে কাজ দেওয়ার কথা বলে ওই যুবতীকে নিয়ে আসা হয়। যদিও সেদিন খাগড়াবাড়িতে সেরকম কোনও অনুষ্ঠান ছিল না বলে জানতে পারেন তদন্তকারীরা। প্রথমে তরুণীকে মরা নদীর কুঠি এলাকায় এক অভিযুক্তের বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই ওই যুবতীর ওপর চলে পাশবিক অত্যাচার বলে অভিযোগ।" তবে পুলিশ একজন ধৃতকে হেপাজতে নেওয়ার পর জেরা করে জানতে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে যে আর কে কে যুক্ত রয়েছে এই গোটা ঘটনার সঙ্গে।
মরা নদীর কুঠি এলাকায় বুধবার ধর্ষণের ঘটনায় স্থানীয়দের মধ্যে তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। দুপুরে এক অপরিচিত যুবতীর চিৎকার শুনে স্থানীয়রা জড়ো হন। তাঁকে জিজ্ঞাসা করে জানা যায়, "স্থানীয় এক ব্যক্তি-সহ আরও দুজন মঙ্গলবার গভীর রাতে তাঁকে অপহরণ করে নিয়ে আসে এই এলাকায়। এরপরেই তাঁকে একটি ঘরে রেখে তাঁর পরিবারের কাছে তিন লক্ষ টাকা মুক্তিপণ দাবি করেন সেই অভিযুক্তরা। টাকা দিতে না পারায় ধর্ষণ করা হয় সেই যুবতীকে।" পুন্ডিবাড়ি থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে এক অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে এবং নিগৃহীতাকে উদ্ধার করে নিয়ে যায় তাদের সঙ্গে। পুলিশ রাত পর্যন্ত অপর দুই অভিযুক্তদের খোঁজ চালিয়ে গেলেও ধরতে পারেনি। কিন্তু, পরে পুন্ডিবাড়ি থানার পুলিশ এসে এক অভিযুক্তের বাড়ি থেকে মেয়েটির ব্যাগ সহ দুটি ভুয়ো আধার কার্ড উদ্ধার করে নিয়ে যায়।
সার্থক পণ্ডিত